সব
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সামনে থেকে কোকাকোলার বোতল সরিয়ে পানির বোতল রেখেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পানির বোতল সামনে টেনে নিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন “পানি খান”। এই ঘটনার জেরে অল্প কিছু সময়েই কোকাকোলা প্রায় চারশ কোটি ডলার খুইয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোকাকোলা কোম্পানি জানিয়েছে, ‘প্রত্যেক মানুষেরই নিজ নিজ পানীয় বাছাই করার স্বাধীনতা রয়েছে।”
আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনা ঘটালেন ফ্রান্সের তারকা মিডফিল্ডার পল পগবা। এবার সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় নিজের ‘অপছন্দের’ পানীয়র বোতল হেইনেকেন বিয়ার তথা মদের বোতল সরিয়ে দিলেন পগবা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ইউরো চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সেই গোলটির কারিগর ছিলেন পগবা। এছাড়া সারা ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছেন এ মিডফিল্ডার। যার ফলে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে আসতে হয়েছে পগবাকে। যেখানে তার সামনের টেবিলে রাখা ছিল দুইটি কোকের বোতল, একটি হেইনেকেন বিয়ারের বোতল এবং একটি সাদা পানির বোতল। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে সেখান থেকে শুধুমাত্র বিয়ারের বোতলটি সরিয়ে নিচে রেখে দেন পগবা।
তবে রোনালদো যেমন কোকাকোলার বোতল সরিয়ে সবাইকে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, পগবা তেমন কিছু করেননি। নীরবে মদের বোতলটি সরিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে মনোযোগ দেন তিনি। রোনালদোর কাণ্ডে কোকাকোলার ক্ষতি ছিল ৩৪ হাজার কোটি টাকা, এবার পগবার ঘটনায় কত খোয়াবে হেইনেকেন সেটিই দেখার।
প্রসঙ্গত, চলতি ইউরো কাপের অন্যতম স্পন্সর হেইনেকেন। ইউরোর ম্যাচসেরার পুরস্কারটি মদ উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে থাকে। আর সংবাদ সম্মেলনে হেইনেকেনের বোতল সরিয়ে রাখলেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়ে হেইনেকেনের দেয়া পুরস্কার ঠিকই গ্রহণ করেছেন পগবা। ফলে অনেকেই এই দুই ঘটনা মিলিয়ে পগবার দ্বিচারিতার প্রশ্ন তুলছেন।
