একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, পরীমণি ও তার বন্ধু ম’দ্যপ অবস্থায় ছিল : নাসির

| আপডেট :  ১৪ জুন ২০২১, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ জুন ২০২১, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধ”ণ ও হ’’ত্যাচেষ্টা মা’মলার আ’সামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ নিজেকে নি’র্দোষ বলে দাবি করেছেন। উল্টো সেই রাতে পরীমণি ও তার বন্ধু ম’দ্যপ অবস্থায় ছিল বলেও দাবি করেন। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধ”ণ ও হ’’ত্যাচেষ্টা মা’মলার আ’সামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ।

পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের কাছে পরীমণির আনা অ’ভিযোগ অস্বীকার করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি বুধবার (৯ জুন) রাতে যখন ক্লাব থেকে বের হই তখন তারা (পরীমণি ও তার বন্ধু) ক্লাবে ঢুকে। তারা তখন ম’দ্যপ অবস্থায় ছিল। তাদের মধ্যে একটি ছেলে উশৃঙ্খল ছিল। ক্লাবে ঢোকার পর আমাদের বারের কাউন্টার থেকে বড় বড় ও দামি ড্রিংকসের বোতল জো’র করে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে বলি, আপনারা ড্রিংকসগুলা নিতে পারেন না। আমি তাদের বা’ধা দেই। আমি বলি, এটা শুধুমাত্র ক্লাবের মেম্বারদের জন্য। এখান থেকে ম’দ নিতে হলে তোমাদের কোনো সদস্যের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে নিতে হবে। তারপর আমি আমার সিকিউরিটিদের ডাক দেই। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাদের নিয়ে যায়।’

এর আগে রোববার রাতে উত্তরা বোট ক্লাবের সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদের বি’রুদ্ধে ধ”ণ ও হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন নায়িকা পরীমণি। সেদিন রাতেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে মা ডেকে তার কাছে সঠিক বিচার ও মেয়ে হিসেবে আশ্রয় চেয়েছেন পরীমণি। রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ স্ট্যাটাস দেন পরীমণি।

সেই স্ট্যাটাসের পর রোববার রাতেই নিজ বাসায় পরীমনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত বুধবার (৯ জুন) রাতে তার বন্ধু অমি তাকে উত্তরা ক্লাবে নিয়ে যান। এসময় তার সঙ্গে মেকআপম্যানও ছিল। সেখানে গিয়ে দেখেন নাসির উদ্দিনসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। টেবিলে দুটি ম’দের বোতল ছিল। পরীকে ম’দপানের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করেন তিনি। পরে তাকে কফি খাইতে দেওয়া হয়। তবে, কফির স্বাদ স্বাভাবিক ছিল না। তাই তিনি কফি পান করেননি। এমনকি পরে সরবরাহ করা কোল্ড ড্রিংকসেও কিছু মেশানো হয়েছিল বলে মনে হয় পরীমনির। তিনি কোল্ড ড্রিংকসও পান করেননি।

এতে ক্ষি’প্ত হন বোট ক্লাবের সদস্য নাসির উদ্দিন। পরীমনি ও তার সঙ্গে থাকা জেমী ওয়াশরুমে যেতে চাইলে পরীকে যেতে বা’ধা দেওয়া হয়। এমনকি পরীমনি ও জেমী বাসায় যেতে চাইলেও বা’ধা দেওয়া হয়। নাসির উদ্দিন পরীমনিকে লা’থি মে’রে চেয়ার থেকে ফে’লে দেন এবং মুখের মধ‌্যে ম’দের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এতে তার দাঁতের মধ‌্যে আ’ঘাত লাগে এবং কিছু ম’দ গ’লার মধ‌্যে চলে যায়। এতে তার বুক জ্বা’লা করে। তিনি অ’সুস্থ হয়ে পড়েন। পরীমনি ও জেমী চি’ৎকার ও কা’ন্না করলে তাদের ধ”ণ করার হু’মকি দেওয়া হয় এবং গালাগালি করা হয়।