পরীমণিকে নি’র্যাত’নকারী কে এই নাসির!

| আপডেট :  ১৪ জুন ২০২১, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ জুন ২০২১, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে মুখ খুললেন পরী’মণি। ফেসবুকে পোস্ট দেও’য়ার দুই ঘ’ণ্টার মাথায় জানালেন তা’কে হ”ত্যা’ ও ধ”র্ষ”ণচে’ষ্টায় অভি’যুক্ত ব্যক্তির নাম। জানান, তার ওপর সেদিন রা’তে না’র’কীয় অ’ত্যা’চা’র চালি’য়েছেন নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি। নিজের বা’সায় গণ’মা’ধ্যম কর্মী’দের সামনে এক সংবা’দসম্মে’লনে এ নিয়ে বি’স্তারিত জানান।

তিনি জানান, ঘট’র মূল হোতা নাসির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি। উত্তরা বোট ক্লাব নামে এক ক্লাবের সাবেক সভাপতি তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন রাত ১২টার পর পরি’চিতজ’নদের নিয়ে ওই ক্লাবে যান পরী’মনি। সেদিন চারজন ম’দ্য’প ব্য’ক্তি পরী’মনিকে শারী’রি’ক’ভাবে নি’র্যা’ত’ন ক’রেন। চ’ড়-থা’প্প’ড় মা’রেন। গা’য়ে আ’ঘা’ত করেন। এক পর্যা’য়ে একজন তাকে নে’শা’দ্রব্য খা’ই’য়ে ধ”র্ষ”ণের চে’ষ্টাও করে তারা।

পরী বলেন, বুধবার রাত ১২ টার দিকে অমি না’মের একজন প’রি’চি’ত ব্য’ক্তির সাথে উত্তরা বো’ট ক্লাবে যাই। সেখানে আর কেউ ছিল না। তবে পরে সেখানে নাসির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্য’ক্তি আসে। তিনি নিজে’কে উত্তরা বো’ট ক্লাবের সাবেক প্রেসি’ডে’ন্ট পরিচয় দেন। এমন তথ্য দি’য়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরী’মনি। সংবাদ সম্মেলন ছে’ড়ে অন্য কক্ষে চলে যান।

কে এই নাসির ইউ মাহমুদে? ২০১৫ সালে উ’ত্তরা ক্লা’বের সভাপতি পদে পুনঃনির্বা’চিত হয়েছেন শিল্প’পতি নাসির ইউ মাহমুদ। নির্বা’চ’নে নাসির ইউ মাহমুদ ৬৭২ ভোট পান। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফে’সবুকে একটি স্ট্যা’টাস দেন পরীমনি, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় চলছে।

প্রধান’মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে ওই স্ট্যাটা’সের শুরুতে এ নায়িকা লেখেন, ‘আমাকে রেপ এবং হ”ত্যা’র চে’ষ্টা করা হয়েছে। আমি শা’রী’রি”ক নি’র্যা’তনে’র শি’কা’র হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।’ স্ট্যাটা’সের পর পর গণ’মাধ্যম কর্মীরা এ বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করলে তিনি বলেন, আপ’নারা বাসায় আসেন। সব বলবো। ফোনে এসব বলা ঠিক হবে না।

এরপরই গণ’মাধ্যম কর্মী’রা তার বাসায় গিয়ে জমা হন। মুঠো’ফো’নে পরী’মনি জানি’য়েছি’লেন, গত চার দিন ধরে থানা থে’কে শুরু করে চলচ্চিত্র বন্ধু’দের কা’উকে পাশে পাননি তিনি। চল’চ্চিত্র শিল্পী সমি’তি’তেও অভি’যোগ নিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি কোনো প্রতি’কার পাননি। যাদেরকে পেয়েছেন সবাই বি’স্তারি’ত ঘটনা জেনে ‘দেখছি’ বলে চুপ হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে সামা’জিক যোগা’যোগ মাধ্য’মে পোস্ট দিয়েছেন।

পরীমনির এমন অভি’যোগে’র সত্যতা নি’শ্চিত করে’ছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সা’ধারণ সম্পাদক চিত্র’নায়ক জায়েদ খানও। এক গণমাধ্য’মকে তিনি বলেন, ‘পরী’মণি আমার সঙ্গে যোগা’যোগ করেছিলেন। একটি অনা’কা’ঙ্ক্ষিত ঘট’নার বিচার চান তিনি।’ তবে অনা’কা’ঙ্ক্ষিত ঘট’নায় পরী’মনি কত’টা ভু’ক্তোভো’গী হয়েছেন বা ঘটনাটি কি সে বিষ’য়ে কিছু জানাননি জায়েদ খান।

তবে এটাই স্প’ষ্ট যে, জায়েদ খানসহ শিল্পী সমিতির কেউ কেউ ঘ’টনার প্রসঙ্গে অবগত আছেন। এদিকে পরী’মণির স্ট্যা’টাস সম্পর্কে পু’লি’শ সদর’দফত’রের সহ’কারী মহা’পরিদ’র্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘তিনি অব’শ্যই ন্যা’য়’বিচার পাবেন। আমরা তার ন্যা’য়বি’চারের জন্য কাজ করব।’

রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃ’ষ্টি আ’ক’র্ষণ করে দে’ওয়া পরী’মনির স্ট্যা’টা’সটি এখন সামা’জিক যোগা’যোগমা’ধ্যমে ভাইরাল। পোস্টের পর ১ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে প্রায় ৫০ হাজার লা’ইক জমা প’ড়েছে তাতে। মন্তব্য জমা পড়েছে ১৪ হাজা’রের বেশি। শেয়ার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার। সিনেপ্রে’মীদের প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এমন স্ট্যাটাস দিলেন পরীমনি? কে বা কারা নি’র্যা’ত’ন করেছেন এই চিত্র’নায়িকা’কে? আই’নশৃঙ্খ’লা বাহিনী নীরব কেন?

রো’ববার রাতে ফেসবুকে লেখা ওই স্ট্যা’টাসে পরীমনি লেখেন, ‘বরাবর, মা’ননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগ’রিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শা”রী’রি”ক নি’র্যা’ত’নের শি’কা’র হয়েছি। আমা’কে রেপ এবং হ’ত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

‘এই বি’চার কই চাইবো আমি? কো’থায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁ’জে পাইনি চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্র বন্ধু বেনজীর আ’হমেদ আইজি’পি স্যার! আমি কা’উকে পাই না মা। যাদের পেয়ে’ছি সবাই শু’ধু ঘটনার বিস্তা’রিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!’

পরী’মণি আরও লেখেন, ‘আমি মেয়ে, আমি না’য়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চু’প করে থা’কতে পারি না। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গি’লানো বাক্য মেনে নিয়ে চু’প হয়ে যাই, তাহলে অনে’কের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষু’ণি মনে পড়ে গেল) তাদের ম’তো আমিও কেবল তাদের দল ভা’রী করতে চলেছি হয়’তো।

আফ’সোস ছাড়া কারোর কি করার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি ‘চুপ থেকে কোনো অ’ন্যায় মেনে নিতে!’ ‘আমার মা যখন মারা যান তখন আমা’র বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মু’হূর্ত মাকে খুব দরকার এখন,

মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে, ভী’ষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার, একটু শ’ক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার। আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপ’নাকে দরকার মা। মা আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাঁ’চিয়ে নাও মা।’