মেজর সিনহা হ’ ত্যায় ওসি প্রদীপ জড়িত নন: আইনজীবী রানা দাশ

| আপডেট :  ১৩ জুন ২০২১, ০৪:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ জুন ২০২১, ০৪:০৩ অপরাহ্ণ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হ’’ত্যায় টেকনাফ থানার ব’রখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জ’ড়িত নন বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার জে’লা জজ আ’দালতে ওসি প্রদীপের জা’মিন শুনানিতে অংশ নিতে আসেন রানা দাশ। পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, মা’দকের বি’রুদ্ধে স’রকারের যে জিরো টলারেন্স নীতি, ওসি প্রদীপ সেই দায়িত্বই পালন করেছেন। ওসি প্রদীপ মা’দক নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছিলেন। এখন তাঁর অনুপস্থিতিতে মা’দকসংশ্লিষ্ট অ’পরাধ আবার দ্বিগুণ বৃ’দ্ধি পেয়েছে।

রানা দাশ গুপ্ত বলেন, অ’ভিযোগপত্রে মেজর সিনহার গ’লায় বুট জুতা দিয়ে (ওসি প্রদীপ) চে’পে ধরে মৃ’ত্যু নিশ্চিত করার যে অ’ভিযোগ আনা হয়েছে, ম’য়নাত’দন্ত প্রতিবেদনে তা পাওয়া যায়নি।

রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘ক’রোনা অতিমারির মধ্যে সারা দেশে এজলাস ঠিকমতো হচ্ছে না, এর মধ্যেও আমরা একটি জা’মিন আবেদন দিয়েছি আ’দালতে, সংগত কারণে শুনানি হয়নি। খাসকামরা থেকে একটি অর্ডার দিয়েছেন, এই আবেদনের শুনানি হবে ২৭ জুন।’

আইনজীবীরা জানান, ৯ জুন জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতে সাবেক ওসি প্রদীপ ও এএসআই নন্দলাল রক্ষিতের জা’মিন আবেদন করা হয়েছিল। আ’দালত আজ রোববার ১৩ জুন জা’মিন শুনানির দিন ধার্য করেন। জা’মিন শুনানিতে অংশ নিতে ঢাকা থেকে রানা দাশ গুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচজন আইনজীবী কক্সবাজার আসেন।

জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের স’রকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইল জা’মিন আবেদনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন ২৭ জুন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাত মাস পর ১০ জুন চট্টগ্রাম কা’রাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কক্সবাজার কা’রাগারে আনা হয় ওসি প্রদীপকে।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এপিবিএনের তল্লা’শিচৌকিতে পুলিশের গু’লিতে নি’হত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান। ঘটনায় টেকনাফ থানায় পুলিশ বা’দী হয়ে পৃথক দুটি মা’মলা করে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর, অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আ’দালতে ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশের বি’রুদ্ধে হ’’ত্যা মা’মলা করেন নি’হত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। হ’’ত্যা মা’মলা ও পুলিশের করা মা’মলার ত’দন্ত দায়িত্ব পায় র‌্যা’ব।
একই বছরের (২০২০ সালের) ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অ’ভিযুক্ত করে আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দেন ত’দন্ত কর্মকর্তা র‌্যা’ব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

ত’দন্ত প্রতিবেদনে সিনহা হ’’ত্যার ঘটনা পরিকল্পিত এবং ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে এই হ’’ত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এ মা’মলায় ১৪ জন আ’সামি কা’রাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন পুলিশ সদস্য (টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁ’ড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া), তিনজন আর্মড পুলিশ ব্যা’টালিয়ন এপিবিএন সদস্য (এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আবদুল্লাহ) এবং তিনজন টেকনাফের বাহারছড়া গ্রামের বাসিন্দা (নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন)। সাগর দেব নাথ নামের পুলিশের একজন কনস্টেবল প’লাতক।

আ’দালত সূত্র জানায়, হ’’ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জ’ড়িত গ্রে’প্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন আ’সামি আ’দালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন। তবে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আ’দালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দেননি। এর আগে আ’সামিদের ৩ দফায় ১২–১৫ দিন রি’মান্ডে আনা হয়েছিল।

মা’মলার বা’দী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্ম’দ মোস্তফা বলেন, সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল বিচারিক আ’দালতে এই মা’মলার শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। ক’রোনা সং’ক্র’মণ বেড়ে যাওয়ায় এবং স’রকারের বিধিনিষেধের কারণে কার্যক্রম স্থগিত আছে। সুত্রঃ প্রথম আলো