বে’ইজ্জতি চ’রমে পৌঁছে গেছে, ভ’য়ে ফোন ধরছি না: পাপন

| আপডেট :  ১৩ জুন ২০২১, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ জুন ২০২১, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

খেলাধুলা: মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে নানা আচরণে বরাবরই সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (১১ জুন) আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে জন্ম দিয়েছেন আরেকটি বিতর্কের। দুই দফায় স্ট্যাম্পে লা’থি, আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর স্ট্যাম্প তুলে আছাড় মা’রেন তিনি। এমন কাণ্ডে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন হতাশা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (১২ জুন) একটি বেস’রকারি টেলিভিশনকে মুঠোফোনে নাজমুল হাসান জানান, সাকিবকাণ্ডে দেশের বাইরে থেকে ঘটনায় প্রচুর ফোন পাচ্ছেন। ভ’য়ে সেসব ফোন তিনি ধরছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে এ ঘটনা এত দেশে ছড়িয়ে গেছে…আমাকে এত দেশ থেকে ফোন করছে যে আমি ভ’য়ে ফোন ধরছি না। বেইজ্জতি চ’রমে পৌঁছে গেছে।

এগুলোর সমাধান না হলে ঘরোয়া লিগ খেলার কারণ দেখি না। লজ্জার চ’রম জায়গায় নিয়ে গেছে। সব শেষ করে দিয়েছে। আগেও হয়েছে কিন্তু এবার একদম চ’রম বেইজ্জতি। বাংলাদেশের বাইরের কেউ তো এসব সমর্থন করছে না। যা সমর্থন সব আমাদের দেশেই।’ অক্রিকেটীয় আচরণ হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এটিকে সাকিবের প্র’তিবাদ হিসেবে দেখছেন। আসলে ঠিক কী কারণে সাকিব এমন ঘটনা ঘটালো সেটি জানতে ইতিমধ্যে ৫ সদস্যের ত’দন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী মঙ্গলবার বোর্ড সভার কমিটি ত’দন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং নিয়ে চলে আসা অ’ভিযোগ নিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আমার প্রথম কথা হলো যদি কারও ভাবনায় এরকম চিন্তা থাকে যে ঘরোয়া ক্রিকে’টে এরকম হয় তাহলে খেলার দরকার কি? যতক্ষণ পর্যন্ত মীমাংসা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত খেলার তো দরকার নেই। মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা বলছে, এসব খেলায় আগে সব সেটিং থাকে, এই করা হচ্ছে, ওই করা হবে, তাহলে তো এই খেলার কোনও মানে হয় না।

আগে স’মস্যার সমাধান করো তারপর মাঠে নামো। কেন আমরা খেলাবো? তাও আবার কোভিডের মধ্যে। যেখানে ১ কোটি টাকারও বেশি বাড়তি খরচ করছে বোর্ড শুধুমাত্র কোভিডের কারণে। এতকিছু করে, এত কথা শোনার তো দরকার নেই।’ আম্পায়ারিং নিয়ে কোনও ক্লাবই অ’ভিযোগ করেনি বলে দাবি করেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কোনও অ’ভিযোগ থাকলে সেটা ম্যাচের রিপোর্টে থাকে। সেখানে কিছু নেই। ওরা (সিসিডিএম) বলছে, কোনও ক্লাবের কোনও স’মস্যা নেই।

আম্পায়ারিং নিয়ে এর আগে অ’ভিযোগ ছিল। ক্যামেরা লাগানোর পর তো এসব অ’ভিযোগ বন্ধ হয়েছে। এরপর একবারও শুনিনি। কেন তাহলে এরকম এবার বলা হচ্ছে একটা ঘটনার পরই। আবার যেহেতু আম্পায়ারিং নিয়ে কথা উঠেছে আমি জানতে চাই ক্লাবগুলো থেকেই তাদের কোনও অ’ভিযোগ আছে কিনা।’ শুক্রবারের ঘটনায় আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে ভিত্তিতে সাকিবকে তিন ম্যাচ নি’ষিদ্ধ ও ৫ লাখ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। বিসিবি কোনও শা’স্তি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আগে ত’দন্ত কমিটির রিপোর্ট আসুক তারপর দেখা যাবে।’