নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরলেন ডিপজল

| আপডেট :  ৯ জুন ২০২১, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ জুন ২০২১, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

প্রয়াত সং’সদ সদস্য আসলামুল হকের আসন ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন ফরম তুলতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন ঢাকাই সিনেমার দাপুটে অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নৌকার মনোনয়ন ফরম তুলতে যান ডিপজল। এ সময় মিরপুরের মোল্লা পরিবারের স’ন্তান ও সাবেক বিএনপিনেতা এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ যান নৌকার ফরম কিনতে। কিন্তু সাবেক এই দুই বিএনপি নেতাকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।

আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম তোলার জন্য এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ মঙ্গলবার তার কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে আসেন। এ সময় তার কাছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কোনো পদ কিংবা প্রাথমিক সদস্যপদের কাগজপত্র চাওয়া হয়। তিনি কাগজ দেখাতে পারেননি। তাই তার কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়নি। পরে তিনি চলে যান।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ। দুপুরের বিরতিতে ফরম বিক্রি বন্ধ থাকায় প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে ফরম বিক্রির কক্ষে যান এখলাস। কিন্তু মনোনয়ন ফরম কেনার কোনো শর্ত পূরণ করতে না পারায় এখলাসের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়নি। তার পক্ষ থেকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করে অনুরোধ করতে থাকেন কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় ফরম কেনার যোগ্যতার পুরো বি’ষয়টি তুলে ধরা হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই কার্যালয় ছাড়তে বা’ধ্য হন এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ ও তার কর্মী-সমর্থকেরা।

ওই সময় মনোনয়ন ফরম কেনার জন্য সেখানে অপেক্ষারত ছিলেন অভিনেতা ডিপজল। এখলাস উদ্দিন মোল্লাহর ফরম কিনতে না পারার বি’ষয়টি জানতে পেরে ডিপজল দ্রুত আওয়ামী লীগ অফিস ত্যাগ করেন। এ সময় ডিপজলের সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও অভিনেতা মিশা সওদাগর। মনোনয়ন ফরম কিনতে না পারার বি’ষয়ে এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ ও ডিপজলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ডিপজল ও এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ দু’জনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জ’ড়িত ছিলেন।

সিনেমায় খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জ’ড়িত ছিলেন। বিএনপির সমর্থন নিয়ে তিনি ১৯৯৪ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার (কাউন্সিলর) পদে নির্বাচন করে জিতেছিলেন। বিএনপির রাজনীতি করে তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা।

তিনি ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সং’সদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে তার ভাই ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার ঢাকা-১৬ আসনে সং’সদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সুত্রঃ যুগান্তর