কমিটি করে কি বাঁচতে পারবে বাবুনগরী?

| আপডেট :  ৮ জুন ২০২১, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জুন ২০২১, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

তার বি’রুদ্ধে ৬টি মা’মলা। তিনটির বি’ষয়ে ত’দন্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা করলেন। বিভিন্ন মহল মনে করছেন যে, মা’মলা এবং ত’দন্ত থেকে বাঁচার জন্যই নতুন কমিটি

গঠন করেছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। প্রশ্ন উঠেছে, এই কমিটি করে কি তিনি শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারবেন? জুনায়েদ বাবুনগরীর বি’রুদ্ধে তিনটি মা’মলা ২০১৩ সালের। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা চলো অ’ভিযানের সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তা’ণ্ডব চালিয়েছিল, লু’টপাট অ’গ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছিল।

এ নিয়ে যে একাধিক মা’মলা আছে সেই মা’মলাগুলোতে আ’সামির জুনায়েদ বাবুনগরী। বাবুনগরীর নির্দেশেই এই এইসব ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে মা’মলার অ’ভিযোগে বলা হয়েছে। ওই ২০১৩ সালের ৫ মে তেই বাবুনগরীর বি’রুদ্ধে আরেকটি মা’মলা হয়েছিল। সেটি হলো রাষ্ট্রদ্রো’হিতার মা’মলা। ৫ মে তে শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়ে বাবুনগরী ঘোষণা করেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ স’রকারের পতন ঘটানো হবে। ইসলামী স’রকার গঠন করা হবে এবং ইসলামী স’রকারে নিজেকে তিনি সঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন। আর এই বাস্তবতায় তার বি’রুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রো’হিতার মা’মলা হয়েছিল।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের আন্দোলন যখন স’রকার সফলভাবে মোকাবেলা করে তারপর জুনায়েদ বাবুনগরী গ্রে’প্তার হয়েছিলেন এবং গ্রে’ফতার হবার পর আহম’দ শফীর তদবিরে তিনি মুক্ত হন এবং সেই বাকিটা সময় তিনি আহম’দ শফীর ছায়ায় ছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ মে`র পর আহম’দ শফীর নেতৃত্বে হেফাজতের সঙ্গে স’রকারের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হয় এবং সে কারণেই বাবুনগরীর
বি’রুদ্ধে যে মা’মলাগুলো ছিল সে মা’মলাগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। আহম’দ শফীর মৃ’ত্যুর পর জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের আমীর এবং আমির হয়েবি তিনি নতুন করে স’রকারবি’রোধী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। বিশেষ করে হেফাজতের কমিটিতে যারা আওয়ামী লীগবি’রোধী, বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে আসেন এবং নতুন কমিটি হওয়ার পরই স’রকারের ও’পর নানারকম চা’প সৃষ্টি করা হয়।

এই চা’প সৃষ্টি করতে গিয়েই গত ২৬ এবং ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হেফাজত ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা’ণ্ডব চালায়। এরপর স’রকার ক’ঠোর অবস্থানে যায়। ক’ঠোর অবস্থানে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আরো কিছু মা’মলা হয় যারা এইসব তা’ণ্ডব এর সঙ্গে জড়িত। এই মা’মলার মধ্যে হাটহাজারীতে স’ন্ত্রাসী ঘটনায় দুটি মা’মলাতে আ’সামি জুনায়েদ বাবুনগরী। আবার আহম’দ শফী অনুসারীরা তাকে হ’’ত্যা করা হয়েছে বলে অ’ভিযোগ করেছিল। পিবিআই ত’দন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে যে, আহম’দ শফীকে হ’’ত্যা করা হয়েছে। আর এই অ’ভিযোগে একটি হ’’ত্যা মা’মলা এখন ত’দন্তাধীন রয়েছে। এই মা’মলার অন্যতম আ’সামি হলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বি’রোধিতা করেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে স’রকার ও এদের ব্যাপারে ত’দন্ত শুরু করেছে এখন দু’র্নীতি দ’মন কমিশন সম্বন্ধে ত’দন্ত করছে ত’দন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে যে দেখা যাচ্ছে যে জুনায়েদ বাবুনগরী।

জুনায়েদ বাবুনগরীরা যখন ভাস্কর্য ইস্যুতে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বি’রোধীতা করেছে। সেই প্রেক্ষিতে স’রকার এদের ব্যাপারে ত’দন্ত শুরু করেছে। এখন দু’র্নীতি দ’মন কমিশন জুনায়েদ বাবুনগরী সম্বন্ধে ত’দন্ত করছে। এই ত’দন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে, জুনায়েদ বাবুনগরী বিপুল বিত্তের অধিকারী। দু’র্নীতি দ’মন কমিশন তার বিভিন্ন সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখছে। এত কিছু অ’ভিযোগ মাথায় নিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী কমিটি করলেন একটি আশায় যে, এই কমিটির ফলে স’রকারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক তৈরি হবে। কিন্তু জুনায়েদ বাবুনগরীর যে অ’পকর্ম,

যে দু’র্বৃত্তায়ন, যে স’ন্ত্রাসী তৎপরতা এবং অর্থনৈতিক অসঙ্গতি তার কি হবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রেক্ষিতেই নতুন করে যে বি’ষয়টি সামনে এসেছে তা হল যদি কমিটি করে জুনায়েদ বাবুনগরী পার পান, তাহলে ভবি’ষ্যতে এই ধরনের অ’পরাধের বিচার করা কি কঠিন হয়ে যাবে না?