ভারতের ছায়াতলে আর নেই বাংলাদেশ!

| আপডেট :  ৮ জুন ২০২১, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জুন ২০২১, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৯ ভাগ। মাথাপিছু আয় ধরা হয়েছে ২২২৭ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি ভারতের জাতীয় প্রবৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে মাথাপিছু আয় ১৯৪৭ ডলার।

বাংলাদেশে প্রত্যাশার চেয়ে উচ্চ মাত্রায় রেমিটেন্স আসার ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জাতীয় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) পর্যালোচনা করেছে বিশ্বব্যাংক। আগে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস করা

হয়েছিল শতকরা ১.৭ ভাগ। তা পর্যালোচনায় ধরা হয়েছে শতকরা ৩.৬ ভাগ। কয়েক বছরে বাংলাদেশ নক্ষত্রের মতো জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার প্রত্যক্ষ করেছে। ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে শতকরা ৮.৪ ভাগ।

শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে বাংলাদেশের সহায়তা: প্রতীকী অর্থে গুরুত্বপূর্ণ
সাম্প্রতিক দুটি উন্নয়ন এটাই পুনরায় বলে দিয়েছে যে, ঢাকা এমন বার্তা দিতে চাইছে- অর্থনৈতিক উত্থান নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ঢাকা। কিন্তু তারা দক্ষিণ এশিয়ায় সার্বিক উন্নয়নের একটি বার্তা দিতে চায়। প্রথমত, তিন মাস সময়ের জন্য

শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার অর্থ দিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে চীনের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ কোটি ডলার ঋণ, ১৫০ কোটি ডলার মুদ্রা বিনিময়। ২০২০ সালে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ বৃদ্ধি করেছে ভারত।

এখানে এটা পয়েন্ট-আউট করা প্রাসঙ্গিক হবে যে, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারতকে সহায়তা দিয়েছে যে ৪০টি দেশ তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। করোনা মহামারির দ্বিতীয় এ ঢেউয়ের সময়

যখন সংক্রমণ পিক-এ পৌঁছে তখন ভারতকে এ রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ১০ হাজার রেমডিসিভির দিয়েছে বাংলাদেশ। রেমডেসিভির ছাড়াও ভারতকে পিপিই কিট, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য ট্যাবলেট দিয়েছে বাংলাদেশ।

মাত্রার দিক দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে দেয়া বাংলাদেশের সহায়তা উল্লেখযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে এ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়া হচ্ছে যে, এ অঞ্চলে এবং এর বাইরে বাংলাদেশ আর ভারতের ছায়ার নিচে নেই। এপ্রিলের শেষে বাংলাদেশের মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৫৬০০ কোটি ডলার। একইভাবে করোনা মহামারিকালে ভারতকে দেয়া ঢাকার সহায়তাকে প্রতীকী অর্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।