ছয় দফা বাড়ল লকডাউন, ১৩ জুনও খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

| আপডেট :  ৬ জুন ২০২১, ০২:৩২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ জুন ২০২১, ০২:৩২ অপরাহ্ণ

করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতায় এপ্রিলে থেকে বিধিনিষেধ জারি করে শুরু হয় লকডাউন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত লকডাউন ছয় দফা বেড়ে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আর বরাবরের মতোই এই বর্ধিত লকডাউনের প্রভাব পড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তের উপর। প্রাথমিকভাবে একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে, আবারো পেছাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ। অর্থাৎ এখনি খুলছে না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

১৩ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আশাবাদ জানালেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না বলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন। রোববার (৬ জুন) উপমন্ত্রী বলেন, করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়ায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয়। পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে সময় জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পূর্বঘোষিত ২৯ মে পর আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্ধিত করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী ১৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ খুলতে পারে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে আবারো ভাটা পড়ল বরিবার (৬ জুন) জারিকৃত লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি-না বা খোলা কতটা যৌক্তিক হবে, সে বিষয়ে ইতোমধ্যে নানা বক্তব্য আসছে। এর আগে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না।

এদিকে সারা দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা সংগঠনের বিক্ষোভ জানিয়েছে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘ ১৫ মাস স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবল হতাশা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। চলতি বছরের অপেক্ষমাণ এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে।

আরেক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশে নেমে এলে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। বর্তমানে সেটি ঊর্ধ্বগতি হওয়া ও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোয় আবারও অনিশ্চয়তায় পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি।