মন্দিরের পাশে থাকা মুসলিম পরিবারকে বাড়ি থেকে ‘তাড়িয়ে দিচ্ছে’ সরকার

| আপডেট :  ৪ জুন ২০২১, ০১:০৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ জুন ২০২১, ০১:০৬ অপরাহ্ণ

নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ভারতে চলছে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতন। আর এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি মুসলিম পরিবার।

ভারতের রাজ্য উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত গোরক্ষনাথ মন্দিরের পাশেই বাড়ি হওয়ায় অই বাড়ি থেকে মুসলিম পরিবারটীকে তাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার। বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জাভেদ ৭১ বছর বয়সী জাভেদ আক্তার জানান, ওই শতবর্ষ পুরনো বাড়িটি তার দাদার আমলের। তার সমস্ত জীবন কেটেছে ওই বাড়িতে। কিন্তু এখন বাড়ি ছাড়তে হতে পারে তাকে।

জাভেদ জানান, কদিন আগেই পুলিশসহ গোরক্ষপুর জেলা কর্মকর্তারা তার বাড়িতে গিয়ে আশপাশের জমি মাপেন। ঠিক তার পরদিনই তাকে একটি ‘সম্মতিপত্র’ স্বাক্ষর করতে বলা হয়। চিঠিতে লেখা ছিলো, গোরক্ষনাথ মন্দিরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাসিন্দারা ‘মন্দির চত্বরের সুরক্ষায়’ তাদের ‘জমি এবং বাড়িগুলি সরকারের কাছে হস্তান্তর’ করার সম্মতি দিয়েছেন।

জাভেদ আরো বলেন, সংখ্যালঘু হওয়ায় তার কিছুই করার ছিলো না এবং তিনি ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। এছাড়া অভিযোগ পাওয়া গেছে, মন্দিরের আশেপাশে বসবাসরত সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় এক ডজন পরিবারকে এমন সম্মতি পত্রে জোর করিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে তাদের বাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে।

তবে আক্তার এও জানান, কর্মকর্তারা নিজের বসতভিটা ছেড়ে দিলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানিয়েছেন তাদেরকে। তবে নামমাত্র মূল্যের সেই ক্ষতিপূরণের চেয়ে বাপ-দাদার পৈত্রিক ভিটায় থাকতে চান তারা। তিনি পূর্বের সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে এই অঞ্চলে হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বাস করে এসেছে বলেও জানান আক্তার।