অভাবে ২৩ বছরের ছে’লে ও স্ত্রী’কে নিজে হা’তে খু’ ন করে নিজেও আ’ত্মঘা’ তী বা’বা!

| আপডেট :  ৪ জুন ২০২১, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ জুন ২০২১, ০২:৫৯ অপরাহ্ণ

কোভিড আর লকডাউনের জোড়াফলায় আর্থিক ভাবে আর পেরে উঠছিলেন না। সোদপুরের বাসিন্দা সমীর গুহ। গত বছর থেকেই ব্যবসা প্রায় অচল। এবছরও আশার আলো জ্ব’লতে না জ্ব’লতে ফের লকডাউন। দু’বেলা দুমুঠো ভাত জোটানোই দায়। শেষমেশ চ’রম পথ বেছে নিলেন তিনি। একমাত্র স’ন্তান ও স্ত্রীকে নিজে হা’তে ছু’রি মে’রে খু’ন করে আত্মঘা’তী হলেন নিজে।

সোদপুরের বসাকবাগানের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেহগু’লি উ’দ্ধার করে ম’য়নাত’দন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানিয়েছে, অভাবের জেরেই এই ম’র্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ত’দন্তে স্পষ্ট হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উ’দ্ধার হয়েছে একটি সু’ইসাইড নোট তথা চিঠি। পার্থ ঘোষ নামের এক বন্ধুকে লেখা সেই চিঠিতে সমীরবাবু জানিয়েছেন, পার্থ যেন ঘরের সবকিছু বিক্রি করে কয়েক জনকে পাওনা টাকা মিটিয়ে দেন। পাওনাদারদের নাম এবং টাকার পরিমাণও চিঠিতে লিখে দেন সমীর।

পেশায় রেডিমেড জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী সমীর গুহ কোনও দিনই খুব স্বচ্ছল না হলেও, একরকম করে চা’লিয়ে নিতেন সংসার। স্টেশন রোডের কাছে দোকান ছিল তাঁর কিন্তু গত বছর লকডাউনের সময় থেকে অন্ধকার নেমে আসে ব্যবসায়। একটানা এত দিন ধরে প্রায় রোজগারহীন। বাড়ছিল অশান্তি, অবসাদ, উ’দ্বেগ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক দিন দেখা যায়নি তাঁদের কাউকে। আজ শুক্রবার সকালে সমীর গুহর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। এরপরই স’ন্দেহ হয় তাঁদের। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভে’ঙে উ’দ্ধার করে ৫৮ বছরের সমীরবাবু, তাঁর স্ত্রী ৪৫ বছরের রুমা ও ২৩ বছরের ছেলে বাবাইয়ের দে’হ।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে বাবাই ও রুমাকে ছু’রি মে’রে খু’ন করা হয়। তার পরেই আত্মহ’’ত্যা করেন সমীরবাবু নিজে। পুলিশের কাছে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আর্থিক অনটনের কারণেই এই ঘটনা। বিস্তারিত ত’দন্ত শুরু হয়েছে। মৃ’তদের আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।