স্ত্রীর সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প’রকীয়ায় জী’বন গেছে ব্যবসায়ীর

| আপডেট :  ২ জুন ২০২১, ০৪:৩১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জুন ২০২১, ০৪:২৫ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে কাপড় ব্যবসায়ী শাকিল হ’’ত্যার সাথে জ’ড়িত নি’হত শাকিলের স্ত্রী মিম খাতুন ও ছোট ভাই সাব্বির হোসেনকে আ’টক করেছে পুলিশ। একইসাথে হ’’ত্যার মূলর’হস্য উদঘাটন করার দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, শাকিল হ’’ত্যার নেপথ্যে স্ত্রী ও ভাইয়ের প’রকীয়া প্রেম।

বুধবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ফিরোজ কবির প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, শাকিল হ’’ত্যার সাথে তার স্ত্রী ও ছোট ভাই জ’ড়িত থাকার বি’ষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। পুলিশি জি’জ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জি’জ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হ’’ত্যার ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২৮ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে সংবাদ আসে যে রূপনগর কলেজপাড়া মহল্লায় আহসান হাবীবের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া শাকিল আহমেদ (৩৫) নি’হত হয়েছেন। নি’হত শাকিল একই উপজে’লার দুবলাচারার (পতিরাজপুর) মো: ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে।

তিনি বলেন, শাকিলকে হ’’ত্যার র’হস্য উদঘাটনে পাবনা পুলিশ সুপার মোহাম্ম’দ মহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশনায় পুলিশ কাজ শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই র’হস্য উদঘাটনসহ হ’’ত্যায় জ’ড়িত দুই আ’সামিকে গ্রে’ফতার করা হয়।

ত’দন্তকালে জানা যায়, নি’হত শাকিলের স্ত্রী মিমের সাথে শাকিলের ছোট ভাই সাব্বিরের প’রকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া শাকিলের সাথে পরিবারের জমিজমা ও পুকুরে মাছ চাষের ভাগাভাগি নিয়ে বি’রোধ ছিল। শাকিল একই বাড়িতে অবস্থান করে আলাদাভাবে সংসার করতেন। এরপর শাকিল তার স্ত্রী মিম ও ভাই সাব্বিরের প’রকীয়ার বি’ষয়টি আঁচ করতে পেরে স্ত্রীকে সাব্বিরের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেন। কিন্তু সাব্বির গো’পনে একটি মোবাইল ফোন মিমকে দেন, যা মিম লুকিয়ে শুধু সাব্বিরের সাথে কথা বলতেন। শুধু তাই নয়, প্রায় সময়ে তারা বাড়ি ফাঁকা পেলে ঘনিষ্টভাবে মিশতেন।

সাম্প্রতিক সময়ে আরো কিছু বি’বাদকে কেন্দ্র করে শাকিল গত ১৯ মে স্ত্রীকে নিয়ে ঈশ্বরদীর রূপনগর কলেজপাড়া মহল্লায় আহসান হাবীবের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। এতে মিম ও সাব্বির একে অপরের থেকে কিছুটা দূরে চলে যাওয়ায় তারা উভ’য়ই শাকিলের প্রতি ক্ষি’প্ত হন ও তাকে হ’’ত্যার পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশের দাবি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিলের স্ত্রী মিম ২৭ মে রাত ১০টার দিকে পানির সাথে তিনটি ঘুমের ট্যাবলেট গুড়া করে মিশিয়ে শাকিলকে খাওয়ান। পরের দিন ২৮ মে শাকিল সারাদিন ঘরে ঘুমাতে থাকেন। সাব্বির ওই দিন সন্ধ্যার পর শাকিলের ভাড়া বাসায় গো’পনে যান। তখনো শাকিল ঘুমের ও’ষুধের প্রভাবে খাটের ও’পর ঘুমাচ্ছিলেন। তখন সাব্বির ও মিম পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শোফাসেটের কুশন বালিশ নিয়ে শাকিলের শয়নকক্ষে গিয়ে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় নাকে ও মুখে বালিশচা’পা দিয়া শ্বা’সরো’ধে হ’’ত্যা করেন।

পুলিশ জানায়, শাকিলকে হ’’ত্যার পর বি’ষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে আ’সামিরা লা’শের তার হাত-পা বেঁ’ধে বাইরে দরজার কাছে রেখে ঘরের দরজাটি বাইরের দিক থেকে লাগিয়ে দিয়ে তারা চলে যান।

পুলিশ জানায়, তাদেরকে গ্রে’ফতারের পর আ’দালতে মিম স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন। এই হ’’ত্যায় আরো কোনো আ’সামি জ’ড়িত আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আ’সামি সাব্বিরকে চার দিনের পুলিশ রি’মান্ডে নিয়ে জি’জ্ঞাসাবাদ চলছে।