মেয়ে পটাতে যখন তখন ধর্ম বদলাতেন অভিজিৎ! (ভিডিও)

| আপডেট :  ২ জুন ২০২১, ০৬:০২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জুন ২০২১, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

যে ধর্মের মেয়েকে টার্গেট করতেন, সেই ধর্মের পরিচয় দিতেন অভিজিৎ ঘোষ। মু’সলিম মেয়ে হলে আস্থা অর্জনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। আর হিন্দু হলে মুখস্ত শ্লোক বলতেন। কোনো বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তার স’ন্তান আর নিজে লে’ফটেন্যা’ন্ট কমান্ডার অথবা ম্যা’জিস্ট্রেট বলে পরিচয় দিতেন। এভাবে একের পর এক ফাঁদ পেতে বিয়ে করে অথবা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধ”ণ করতেন মেয়েদের।

কাজির উপস্থিতিতে মু’সলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে শেষে মোনাজাতে অংশ নিচ্ছে আসাদ মাহমুদ পরিচয়ের অভিজিৎ ঘোষ। অবশ্য বিয়ের আগে নিজেকে নৌবাহিনীর লেফটেনেন্ট কমান্ডার পরিচয় দিয়ে বাহিনীর পোশাক পরে ওই ত’রুণীর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল সে। আস্থা অর্জনের জন্য ওই নারীর বাসায় নিয়মিত নামাজ আদায় করত। এভাবে প্র’তারণার ফাঁদ পেতে ওই ত’রুণীকে অভিজিৎ বিয়ে করেছিল বলে অ’ভিযোগ।

ভু’ক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে বলেছিল ওর বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও মা কুমিল্লা কোর্টের জজ ছিল। বাবা-মা দুজনই মা’রা গেছে। ওর সহযোগী বলত, আমাকে না পেলে আসাদ নাকি আত্মহ’’ত্যা করবে, মা’রা যাবে। তাই আমি ওকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম।

শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ভু’ক্তভোগী এই নারী মায়ের চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলে নিজেকে ম্যা’জিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে আরেক হিন্দু ত’রুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে অভিজিৎ ঘোষ নামের এই প্র’তারক। পরবর্তীতে ওই হিন্দু ত’রুণীর অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গত ২৪ এপ্রিল এক সহযোগীসহ অভিজিৎকে গ্রে’প্তার করে। সময় টেলিভিশনে এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে ওই নারী বুঝতে পারেন প্র’তারক অভিজিৎ ঘোষ হলো তার স্বামী আসাদ মাহমুদ।

ভু’ক্তভোগী নারী আরও বলেন, ওর এই ঘটনা আমি খবরে দেখি। তারপর আমি বুঝতে পারি, এই অভিজিৎ হচ্ছে আমার স্বামী আসাদ মাহমুদ।
মায়ের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে কোতোয়ালি থানায় প্র’তারক অভিজিৎ ঘোষ এবং তার সহযোগী সত্যজিত দাশ শুভকে আ’সামি করে নতুন আরও একটি মা’মলা করেছেন প্র’তারণার শি’কার ভু’ক্তভোগী নারী। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কা’রাগারে থাকা দুজনকে আ’দালতের মাধ্যমে মা’মলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ।

এ বি’ষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্ম’দ নেজাম উদ্দিন বলেন, তার বি’রুদ্ধে আমরা নিয়মিত মা’মলা নিচ্ছি ও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
স’রকারি বিভিন্ন গো’য়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয়ে যেমন বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে পুলিশের কাছে একাধিক নারী অ’ভিযোগ জানিয়েছেন, তেমনি ম্যা’জিস্ট্রেট পরিচয়ে পুলিশকেও অভিজিৎ ঘোষ ধোঁকা দিয়েছিল।