এবার গাজীপুরে প্রে’মিককে সাথে নিয়ে স্বা’মীকে ৬ টু’করা করে ম’য়লার ভাগাড়ে ফে’লে দিলো স্ত্রী!

| আপডেট :  ৩০ মে ২০২১, ০৩:০২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ মে ২০২১, ০২:৫৫ অপরাহ্ণ

গাজীপুরের কাশিমপুরে প’রকীয়া স’ম্পর্কের জেরে প্রে’মিককে স’ঙ্গে নিয়ে স্বা’মীকে হ’’ত্যার অ’ভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বি’রুদ্ধে। এই ঘটনায় নি’হতের স্ত্রী’সহ প্রে’মিককে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। হ’’ত্যার পর নি’হতের ম’রদেহ আলাদা দুটি স্থানে ছয় টু’করো করে ফে’লে দেয় অ’ভিযুক্তরা। হ’’ত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করতেই তারা এমনটি করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান।

নি’হতের নাম সুমন মোল্লা। তিনি বাগেরহাট জে’লার গোলাবরননী বাজার গ্রামের জাফর মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রীসহ কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট এলাকায় স্থানীয় শফিউল্লাহর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গ্রে’প্তার হওয়া ওই দুজন হলেন- নি’হত সুমন মোল্লার স্ত্রী আরিফা বেগম ও ফরিদপুর জে’লার নরকোনা গ্রামের আদিত্য স’রকারের ছেলে তন্ময় স’রকার। তারা উভয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

জাকির হাসান বলেন, গত ২১ এপ্রিল কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট পুকুর পাড় এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হা’ত-পা ও মা’থাবি’হীন অ’জ্ঞাত যু’বকের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাশিমপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বা’দী হয়ে মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলার ত’দন্তের এক পর্যায়ে ২৯ মে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ এই ঘটনায় স’ন্দেহভাজন হিসেবে নি’হতের স্ত্রী আরিফা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক তনয় স’রকারকে গ্রে’প্তার করেন।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে চ’ক্রবর্তী তেঁতুইবাড়ি মোজার মিল সংলগ্ন ময়লার ভাগাড় থেকে নি’হতের খ’ণ্ডিত হা’ত-পা ও মা’থাসহ ম’রদে’হের পাঁচটি টুকরো উ’দ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে গ্রে’প্তারকৃতরা হ’’ত্যার দায় স্বীকার করেছেন। জাকির হাসান আরও জানান, জি’জ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে নি’হতের স্ত্রী আরিফা বেগমের সঙ্গে তনয়ের প’রকীয়া স’ম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জেরে ভি’কটিম সুমন তার স্ত্রী ও তনয়কে মা’রপিট করেন। এতে ক্ষি’প্ত হয়ে অ’ভিযুক্তরা সুমন মোল্লাকে হ’’ত্যার প’রিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৯ এপ্রিল রাতে আরিফা তার স্বামী সুমন মোল্লাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ও’ষুধ খাওয়ায়। পরে প্রেমিক তনয়কে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বালিশ চা’পা দিয়ে সুমনকে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যা করেন। পরের দিন ম’রদেহ করাত ও চা’পাতি দিয়ে ছয় টুকরো করে আলাদা করা হয়। পরে নি’হতের হা’ত-পা ও মা’থাবি’হীন শ’রীর সেফটিক ট্যা’ঙ্কিতে ও অপর পাঁচ টুকরো ময়লার ভাগাড়ে ফে’লে দেয় গ্রে’প্তারকৃতরা। সুত্রঃ আমাদের সময়