এবার লেবাননের পিছু নিয়েছে ই’সরাইল, দিয়েছে হু’মকিও

| আপডেট :  ২৮ মে ২০২১, ০১:৪৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ মে ২০২১, ০১:২১ অপরাহ্ণ

লেবাননকে কাঁপিয়ে দেওয়ার হু’মকি দিয়েছেন ইহুদিবা’দী ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ। লেবাননের বি’রুদ্ধে ইসরাইলের ১৯৮২ সালের যু’দ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষে এক ভাষণে তিনি এ হু’মকি দেন বলে ইরনা জানিয়েছে।হিজবুল্লাহর

মহাস’চিব হাসান নাসরুল্লাহর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বেনি গান্তজ বলেন, লেবানন থেকে যদি কোনো হা’মলা চা’লানো হয় তাহলে ওই দেশে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া হবে। লেবাননের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হা’মলা চালানো হবে তার তালিকা তৈরি করা আছে এবং সে তালিকা গাজার তালিকার চেয়েও বড়।

গাজা যু’দ্ধে কার্যত পরাজিত হওয়ার কয়েক দিন পরই ইসরাইল লেবাননের বি’রুদ্ধে এ হু’মকি দিল। যদিও লেবাননের হিজবুল্লাহ গাজার প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর চেয়েও সা’মরিক দিক থেকে শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ।গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ

মহাস’চিব বলেন, সাম্প্রতিক গাজা যু’দ্ধে যা ঘটেছে তা ছিল ইসরাইলি শ’ত্রুদের বি’রুদ্ধে যু’দ্ধের ইতিহাসে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী।তিনি বলেন, এ যু’দ্ধে যা ঘটেছে তা থেকে ইহুদিবা’দী ইসরাইলকে এই শিক্ষা নিতে হবে যে, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদুল আকসার বি’রুদ্ধে যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের ক’ঠোর জবাব দেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।

ঘু’ষ গ্রহনের অ’ভিযোগে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অ’বরু’দ্ধ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঘুষ গ্রহনের অ’ভিযোগে কর্মসংস্থান ব্যাংক ব্যবস্থাপককে দিনভর অ’বরুদ্ধ করে রেখেছে উত্তেজিত জনতা। পরে ওইদিন বিকেল ৫ টায় পুলিশের মধ্যস্থতায় রোববার (২৯ মে) টাকা ফেরতের আশ্বাস দেয়ায় শান্ত হয় পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বেকারদের অর্থ সহায়তা দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে উৎসাহীত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋ’ণ কর্মসুচী চালু করলেও নাগেশ্বরী শাখায় এ সহায়তা পেতে তাদের মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। অ’ভিযোগ আছে, সিনিয়র অফিসার তৌফিককে দিয়ে এ ঘুষ গ্রহণ করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন টালবাহনায় তাদের ঋ’ণ দেওয়া হয় না।

অনেক সময় ঘুষ ও জমির দলিল নিয়ে অনেককে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে ঋ’ণ না দেয়ার অ’ভিযোগ আছে তাদের বি’রুদ্ধে। ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ ও জমির দলিল দিয়েও অবশেষে ঋ’ণ না পাওয়া তেমনি ৪ জন ক্ষুদ্র ব্যবায়িক ও শিল্প উদ্যোক্তা বলদিয়ার ফরিদুল ইসলাম, শামিমা নাসরিন, কামারপাড়ার মাসুদ রানা ও অভি আমিনুল ডিজিটাল স্টুডিওর আমিনুল ইসলাম।

তারা জানায়, সিনিয়র অফিসার তৌফিক তাদের ঋ’ণ দেয়ার কথা বলে ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের দোহাই দিয়ে ফরিদুল ইসলামের নিকট ৩২ হাজার, শাামিমা নাসরিনের নিকট ৩৫ হাজার, মাসুদ রানার নিকট ২০ হাজার ও আমিনুল ইসলামের নিকট ৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। পরে আজ-কাল করে তাদের ঋ’ণ না দিয়ে ঘোরানো হয়। ব্যাংকে গিয়েও বেশিরভাগ সময় দেখা পাওয়া যায় না সিনিয়র অফিসার তৌফিকের।

ব্যবস্থাপককে বি’ষয়টি জানালে তিনি বলেন তৌফিক এলে তাদের বি’ষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কখনো তা করেন না। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে তারা সবাই ব্যাংকে গেলে তখনো আসেননি তৌফিক। পরে তিনি এলে ব্যবস্থাপক তার সাথে কোন কথা না বলে কৌশলে ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে তারা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের নিকট তাদের ঘুষের টাকা ও জমির দলিল ফেরৎ চেয়ে ব্যাংকের বাইরে অবস্থান নেয়। এভাবে তারা সারাদিন বাইরে বসে থাকেন।

পরে বিকেল ৫ টায় পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান রোববার সিনিয়র অফিসার তৌফিককে ব্যাংকে উপস্থিত করে তাদের ঘুষের টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

নাগেশ্বরী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) বিনয় চন্দ্র বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় পুলিশ ব্যাংকে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রোববার (২৯ মে) সিনিয়র অফিসার তৌফিককে ব্যাংকে উপস্থিত করে তাদের ঘুষের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।