স্বামীকে হ”’ ত্যা করতে পারলে ইমামকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন আসমা

| আপডেট :  ২৬ মে ২০২১, ০৩:৪৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ মে ২০২১, ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ

প’রকীয়া সম্পর্কের জেরেই দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান আজহারুলকে হ’’ত্যা করেন। আর এই হ’’ত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নি’হত আজহারুলের স্ত্রী আসমা আক্তার। তিনি আজহারকে হ’’ত্যা করার বি’ষয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানকে বিভিন্নভাবে চা’প দিতেন। স্বামী আজহারুলকে হ’’ত্যা করতে পারলে ইমামকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন আসমা আক্তার।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যা’ব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা’বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি মসজিদের ইমাম ও ভি’কটিমের স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্কের জের ধরে আজহারুলকে পরিকল্পিতভাবে খু’ন করা হয়। হ’’ত্যাকাণ্ডটি প্রথমে পরিকল্পনা করা হয় রোজার ৭ দিন আগে।

‘ইমাম ভি’কটিম ও তার স’ন্তানকে আরবি শিক্ষা দিতেন। এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান বাসায় গিয়েই আজহারুল ও তার ছেলেকে আরবি পড়াতেন। আর এই বাসায় যাওয়ার ফলেই ভু’ক্তভোগী আজহারুলের স্ত্রী আসমা আক্তারের সঙ্গে ইমামের সম্পর্ক তৈরি হয়। আজহারুল মার্চ মাসের দিকে তার স্ত্রী ও ইমামের মধ্যে অ’নৈতিক সম্পর্কের বি’ষয়টি টের পান। এ কারণেই ভু’ক্তভোগী ইমামকে তার বাসায় আর না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন’।

‘এরপর আসমা আক্তারের সঙ্গে ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে যায়। মার্চের শেষের দিকে ভু’ক্তভোগীর স্ত্রী ও মসজিদের ইমাম দু’জনে মিলে আজহারুলকে হ’’ত্যা করার পরিকল্পনা করেন। প্রথমে তারা সিদ্ধান্ত নেন ভাড়াটে খু’নির মাধ্যমে বা অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে আজহারুলকে খু’ন করবে। পরবর্তীতে আসমা আক্তার মসজিদের ইমামকে পরামর্শ দেন আজহারুলকে হ’’ত্যার ঘটনাটি তার রুমে যাতে করা হয়।’

এর আগে মঙ্গলবার সকালে নি’হতের ম’রদেহ উ’দ্ধারের পর বিকালে আব্দুল্লাহপুর থেকে আসমাকে গ্রে’ফতার করে ব্যাপক জি’জ্ঞাসাবাদ করে র‍্যা’ব। এরপরই আসমা র‍্যা’বের কাছে প’রকীয়া সম্পর্ক ও হ’’ত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আসমা আক্তারকে এই মা’মলায় গ্রে’ফতার দেখানো হয়।

এদিকে এদিন আজহারুল হ’’ত্যা মা’মলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের ১০ দিনের রি’মান্ড আবেদন করেছেন মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার স’রকার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম নিভানা খায়ের জেসী তাদের ৫ দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণখান সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুল ইসলাম (৪০) নামে এক গার্মেন্টকর্মীর ৭ টুকরো লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় র‌্যা’ব মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে গ্রে’ফতার করেছে। ত’দন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসায় আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে আজহারুলের স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এ বি’ষয়ে জিজ্ঞাসা করতে ২০ মে মসজিদে ইমামের কক্ষে গিয়ে খু’ন হন তিনি। পরে তার লা’শ গু’ম করতে সাত টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।

আব্দুর রহমানকে গ্রে’ফতারের বি’ষয়ে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যা’বের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র‌্যা’ব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যা’ব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীম জানান, সোমবার রাতে র‌্যা’বের গো’য়েন্দা দল খবর পায় সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সিঁড়িতে র’ক্তের দাগ এবং সেপটিক ট্যাংক থেকে তীব্র গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যা’ব-১ ছায়া ত’দন্ত শুরু করে। তখন জানা যায়, আজহারুল নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার ত’দন্তের একপর্যায়ে দক্ষিণখানের মাদ্রাসাতুর রহমান আল আরাবিয়া থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রে’ফতার করা হয়। তার কাছ থেকে হ’’ত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৩টি চাকু ও একটি মোবাইল ফোন উ’দ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুলের লা’শ উ’দ্ধার করা হয়।