মসজিদে আকসা রক্ষায় ২৮ বার গ্রে’ফতার হন খাদিজা

| আপডেট :  ২৫ মে ২০২১, ০৫:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ মে ২০২১, ০৪:৪৯ অপরাহ্ণ

খাদিজা খোওয়াইস। ৪৪ বছরের ফি’লিস্তিনি এ না’রী আমৃ’ত্যু ম’সজিদে আকসা র’ক্ষায় আ’ন্দোলন-সং’গ্রামে জী’বন অতিবাহিত করবে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ৭ বছরে দ’খলদার ই’সরায়েল বা’হিনীর হাতে ২৮ বার গ্রে”ফতার হয়েছেন তিনি। কে এই খাদিজা খোওয়াইস?

খাদিজা খোওয়াইস
পবিত্র নগরী জেরুজালেমের ম’সজিদে আকসার একজন স্বেচ্ছাসেবী কুরআনের শিক্ষিকা খাদিজা খোওয়াইস। দ’খলদার ই’সরায়েলিদের ন’গ্ন ও ঘৃ’ণ্য আ’ক্রমণ থেকে ফি’লিস্তিনের আল আকসা ম’সজিদ র’ক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী একজন না’রী স্বেচ্ছাসেবীও তিনি।
ম’সজিদে আকসায় কুরআনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও রক্ষার সংগ্রামে কাজ করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার ই’সরায়েলি কর্তৃপক্ষের মা’মলা ও গ্রে’ফতারে বহুবার হ’য়রানির শি’কার হয়েছেন।

খাদিজা খোওয়াইস ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ৭ বছরে বিভিন্ন সময়ে দ’খলদার ই’সরায়েলি বা’হিনীর হাতে ২৮ বার গ্রে”ফতার হন। গত ৪ বছর আগে তিনি প্রথম বারের মতো কেঁ’দে ফে’লেন। কারণ, সেবার তাঁকে গ্রে”ফতার করে জে’লে নেওয়ার সময় ই’সরায়েলি বা’হিনী তার হিজাব ও ওভারকোট খু’লে ফে’লে।

২০১৭ সালে ম’সজিদে আকসায় ই’সরায়েলি ই’য়াহুদিদের প্রবেশে বা’ধা দেওয়ার অ’ভিযোগে গ্রে”ফতার করা হয়। সে সময় ই’সরায়েলি আদালাত তাকে ২৩ দিনের জে’ল দেয়। খাদিজা খোওয়াইস সে সময় আ’দালতকে জানিয়েছিল, তাকে যেন নামাজ পড়তে প্রয়োজনীয় পোশাক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যাতে যেস নিজেকে পর পুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজেকে আড়াল করতে পারে। তার এ আবেদন সে দিন রাখা হয়নি ফলে খাদিজা খোওয়াইস সেদিন কেঁ’দে ছিলেন।

খাদিজা খোওয়াইসের পরিবার ম’সজিদে আকসার সেবক। এ পবিত্র ম’সজিদের পাশেই তার পরিবারের বসবাস। মসজিদে আকসা র’ক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনা করাই এ পরিবারের কাজ।
খাজিদা খোওয়াইসের প্রতিজ্ঞা এই যে, ‘তিনি মৃ’ত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত বা ফিলিস্তিন ভূমির স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত মু’সলিম জাতির এই পবিত্র স্থাপনা রক্ষায় আ’ন্দোলন, সং’গ্রাম ও প্রয়োজনীয় কাজ করে যাবেন।’

খাজিদা খোওয়াইস বার বার গ্রে’ফতার হলেও জে’ল থেকে মু’ক্তি পাওয়ার পর আবারও ম’সজিদে আকসা র’ক্ষায় কাজ করে যান। জে’ল থেকে বের হয়ে তিনি আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে ই’সরায়েলি আ’দালতের ন’গ্ন হ’স্তক্ষেপের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন।

তিনি বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে কারও প্রতি ন’গ্ন অনুসন্ধান এবং হিজাব অ’পসারণ সম্পূর্ণ নি’ষিদ্ধ। আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা প্রথম ছিল না এবং শুধু আমার হিজাব ও ওড়না কে’ড়ে নেওয়া হয়নি। এ রকম অনেকেরই হিজাব ও ও’ড়না কে’ড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার মতো খুব অল্পজনই জে’লের ভেতরে এবং বাইরে অ’ভিযোগ দা’য়ের করে।’

৪৪ বছরের না’রী খাদিজা খোওয়াইস শৈশব থেকেই ম’সজিদে আকসার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। জীবনের বেশির ভাগ সময় তার বাবার সঙ্গে মসজিদে আকসায় আসা-যাওয়া করেছে। মসজিদে আকসার মা’দরাসায় পড়াশোনা করেছে। আর ২০১৪ সাল থেকে স্থায়ীভাবে মসজিদে আকসায় বসবাস করা শুরু করে এবং কুরআনের শিক্ষক হিসেবে কাজ করে আসছে।

শুধু খাদিজা খোওয়াইস-ই নয়, তার স’ন্তানরাও ম’সজিদে আকসার খেদমতে নিয়োজিত। তার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে মসজিদে আকসার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছে।

খাজিদার ছেলে ছেলে ইউসুফকে তারা গ্রে’প্তার করতে চেয়েছিল। তার ৪ বছরের মেয়ে ফাতিমাকে মসজিদে আকসার গ্রীষ্মকালীন তাঁবুতে অংশগ্রহণেও বা’ধা দেওয়া হয়েীছল। ২০ বছর বয়সী মেয়ে সাফাকে মসজিদে আকসা থেকে ১৫ দিনের জন্য স’রিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরেক মেয়ে ফিদাকে ৩ বার গ্রে”ফতার করা হয়েছিল। খাজিদা খোওয়াইসের জন্য এসবই নিত্য দিনের ঘটনা।

বার বার জু’লুম নি”র্যা’তন ও গ্রে’ফতার খাদিজা খোওয়াইসকে দ’মাতে পারেনি বরং আজীবন ম’সজিদে আকসার খেদমত ও ফি’লিস্তিন র’ক্ষার আ’ন্দোলনের জীবন অতিবাহিত করার দীপ্ত শপথে একমত হয়েছে খাদিজা খোওয়াইসের পুরো পরিবার।

তাইতো খাদিজা খোওয়াইস জানান, ‘দ’খলদার ই’সরায়েলি ই’য়াহুদিরা আমাদের যত দূরে স’রিয়ে দেয় ম’সজিদে আকসার সঙ্গে আমাদের বন্ধন তত দৃঢ় হয়। আমাদের এই বিশ্বাস বাড়ে যে আমরা সত্যের ও’পর আছি। তারা যত বেশি ক’ঠোরতা আরোপ করে, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে থাকি আমরা সঠিক পথে আছি। তাদের দূরে স’রিয়ে দেওয়ার চেষ্টাই প্রমাণ করে আমাদের প্র’ভাব কম নয়।’