করোনায় আক্রান্ত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখালো স্বাস্থ্য বিভাগ

| আপডেট :  ২১ মে ২০২১, ০৮:১০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ মে ২০২১, ০৮:১০ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক জীবিত রোগীকে মৃত দেখিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পরবর্তীতে তথ্য সংশোধন করা হলেও এ ঘটনায় ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছিলেন দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের মৃত কলিম উদ্দীন সর্দারের ছেলে ওসমান গণি (৫৮)। পরবর্তীতে গত ১১ মে তার শরীর থেকে নমুনা নেয়া হয় এবং ১২ মে নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা শনাক্ত হন। পরবর্তীতে ১৮ মে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায় নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ১৩ মে তার মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে মৃত দেখানো হলেও ওসমান গণি এখনও জীবিত রয়েছেন। সদর হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, রোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ৬০৭ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

ওসমান গণির ছেলে সাব্বির হোসেন জানান, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে আমি তো অবাক হয়ে গেছি। আমি হাসপাতালে আমার বাবার দেখাশোনা করি। আমার বাবা এখন বেশ সুস্থ। দুএকদিনের ভিতর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেবে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই আমার বাবাকে মৃত দেখিয়েছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলী যাচাই-বাছাই না করে কোনো অনুমতি বা স্বাক্ষর না নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে ওই তথ্য পাঠিয়েছিলেন। এ ঘটনায় ওই ঘটনায় পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলীকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।