অভিনয় করেই পুলিশকে ধোকা দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার

| আপডেট :  ১৩ মে ২০২১, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ মে ২০২১, ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

স্ত্রী মিতু হ’’ত্যা মা’মলায় অবশেষে গ্রে’ফতার হয়েছেন বাবুল আক্তার। এখন পাঁচ দিনের রি’মান্ডে পুলিশ তাকে জি’জ্ঞাসাবাদ করছে। পিবিআই এর এক অসাধারণ ত’দন্তের মাধ্যমে এই মা’মলার গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। মা’মলার বা’দী বাবুল আক্তার আ’সামি হয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের মিতুকে হ’’ত্যা করা হয়। এই হ’’ত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে এটি নিয়ে তোলপাড় হয়। সেই হ’’ত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার অদ্ভুত কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ সূত্র বলছে যে, বাবুল আক্তার একজন মেধাবী অফিসার ছিলেন এবং তার গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ ছিল। আর সেই গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ এবং মেধাকে তিনি এই হ’’ত্যাকাণ্ডের কাজে ব্যবহার করেছেন।

প্রথমিক অনুসন্ধানে পিবিআই জানতে পেরেছে যে, বাবুল আক্তার এ হ’’ত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং হ’’ত্যার পরবর্তী সময়ে কিভাবে জীবন যাপন করতে হবে, সেটিরও একটি নকশা এঁকেছিলেন। বাবুল আক্তার এই হ’’ত্যাকাণ্ডের জন্য তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন কামরুল মুসাকে এবং মুসা পুরো বি’ষয়টিকে সমন্বিত করে হ’’ত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। হ’’ত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগেও বাবুল কা’ন্নার রিহার্সেল করেছিলেন এবং কিভাবে কাঁদতে হবে, কি কথা বলতে হবে সেটিও চর্চা করেছিলেন বলে পিবিআই জানিয়েছে।

এরপর যখন এই হ’’ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন বাবুল আক্তার আকুল কা’ন্নায় ভে’ঙে পড়ে এবং তার আর্তনাদ, আহাজারি এবং কা’ন্না দেখেই পুলিশরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। বি’ষয়টি সম্পূর্ণ অন্য খাতে মোড় নেয়। এরপর যখন মুসাকে নিয়ে তাকে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাকে চাকরি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়, তখনও ত’দন্তকারী কর্মকর্তাদেরকে অভিনয় দিয়েই বিভ্রান্ত করেন। এসময় বাবুল আক্তার তার স্ত্রীর জন্য এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ফেসবুকে। এটিতে তৎকালীন ত’দন্ত কর্মকর্তারা বেশি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।

তারা জানতেন যে, বাবুলের সঙ্গে এটার কোনো একটা যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু বাবুল আক্তারের অভিনয়, তার কা’ন্না এবং তার স্ত্রীকে নিয়ে আবেগঘন কথাবার্তা পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। ৫ বছর এক ধরনের মুখোশ জীবন যাপন করেছিলেন বাবুল আক্তার বলে জানিয়েছে ত’দন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। তারা বলেছেন বাবুল আক্তারের অভিনয়ই সবাইকে বিভ্রান্ত করেছিল।