যেভাবে বাদী থেকে প্রধান আসামি সাবেক এসপি বাবুল

| আপডেট :  ১৩ মে ২০২১, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ মে ২০২১, ০২:৫৫ অপরাহ্ণ

২০১৬ সালের ৫ জুন সন্তানকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে দূবৃত্তদের হাতে খুন হন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওইসময়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলস করেছিলেন বাবুল আকতার। ধারণা করা হয়েছিলো বাবুল আকতার জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জড়িত থাকায় জঙ্গিরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে ৫ বছর পর জানা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা।

জঙ্গিরা নয় পরকীয়াকে কেন্দ্র করে বাবুল আক্তার নিজেই সাজিয়েছিলেন মিতু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা। বাবুল আকতারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই জানায়, মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে তার স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু মামলার বাদীকে ইচ্ছে করলেই আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা যায় না। তাই মিতুর বাবার দায়েরকৃত নতুন হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার পর বাবুলের মধ্যে আপনজন হারানোর মতো বেদনা দেখা গিয়েছিল। তাই তার কথা সবাই বিশ্বাস করেছিলেন। তবে তদন্তের স্বার্থে পিবিআই বাবুল আক্তারকে ডেকে ছিল। সাক্ষাতের পর বাবুল আক্তার পিবিআইকে কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়গুলো আইজিপিকে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও জানানো হয়।

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে মূলত একটি কল রেকর্ডের সূত্রেই প্রথম এসপি বাবুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ৩৭ মিনিটে এই ঘটনায় জড়িত মুছার মোবাইল ফোনে কল যায় তৎকালীন এসপি বাবুল আখতারের মোবাইল ফোন থেকে। সালাম দিয়ে মুছা ফোনটি রিসিভ করতেই ওপার থেকে বাবুল বলেন, ‘তুই কো’পালি ক্যান? ৩/৪ সেকেন্ড থেমে আবার বলেন, বল তুই কো’পালি ক্যান? তোরে কো’পাতে কইছি? অপর পাশ থেকে মুছা বলেন, ‘না মানে…’। মাত্র ২৭ সেকেন্ডের মোবাইল ফোনের কথোপকথনের রেকর্ডটিই এখন মামলার প্রধান আলামত ও সাক্ষী।