কুমিল্লায় ভ’য়’ঙ্কর নুসরাত

| আপডেট :  ১০ মে ২০২১, ০১:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ মে ২০২১, ১২:০৫ অপরাহ্ণ

কুমিল্লার মেয়ে মুসারাত জাহান মুনিয়ার অস্বাভাবিক মৃ’ত্যুর ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বড় বোন নুসরাত জাহান। তার অ’পকর্মের যেন শেষ নেই। সরজমিন অনুসন্ধনে নুসরাত মার্কেটিংয়ে চাকরির আড়ালে টার্গেট করে বিভিন্ন ব্য’ক্তির সঙ্গে অ’নৈতিক স’ম্পর্ক স্থা’পন, মে’য়েদেরকে ফাঁ’দে ফেলে দে’হ ব্যবসা চা’লানো ও মা’দক ব্যবসার তথ্য পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এখন থেকে বছর দেড়েক আগে নুসরাত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ঝাউতলা শাখায় চাকরি করতো। চুক্তিভিত্তিক মার্কেটিংয়ে সে এ চাকরি করতো। মার্কেটিংয়ে চাকরি করার সুবাধে নুসরাত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতো। এদের মধ্যে টার্গেট করে ব্যাংকের বড় বড় গ্রাহকদের সঙ্গে অ’নৈতিক স’ম্পর্কে জ’ড়িয়ে যেত নুসরাত।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ঝাউতলা শাখার একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, নুসরাত মার্কেটিংয়ে চাকরির আড়ালে মূলত বিভিন্ন ব্য’ক্তিকে টার্গেট করে অ’নৈতিক স’ম্পর্কে জ’ড়াতো। এ জন্য সে অফিসে সময় মত কাজ করতে আসতো না। এমনকি নুসরাত আমাদের ব্যাংকে চাকরি করে এমন একজনের সাথেও অ’নৈতিক স’ম্পর্ক স্থাপন করে।

তিনি বলেন, কিছু দিন পর নুসরাতের এসব বি’ষয় জানাজানি হলে অ’নৈতিক কাজ জড়িত থাকার অ’ভিযোগ এনে ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে চাকরি থেকে ব’রখাস্ত করেন। তখন নুসরাত ক্ষি’প্ত হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার ও একজন সহকর্মী নামে ধ”ণের মা’মলা করতে থানায় যায়। কিন্তু থানা নুসরাতের এটি ফাঁ’সানো মা’মলা বুঝতে পেরে মা’মলা নেয়নি। এরপরও থেমে থাকেনি নুসরাত। থানা মা’মলা না নিলে সে কোর্টে গিয়ে মা’মলা দায়ের করে।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, নুসরাত সাজানো এ মা’মলার উকিল হিসাবে নিয়োগ করেন এডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠুকে। পরে ব্যাংকের ম্যানেজার ও ঐ সহকর্মীকে বিভিন্ন ভ’য়ভী’তি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মা’মলার আপোষ মিমাংসা করে নুসরাত।

নুসরাতের নিজের অ’নৈতিক সম্পর্কই শেষ নয়। সে টাকার লোভ দেখিয়ে মেয়েদেরকে দৈহিক ব্যবসায় নিয়ে আসে। প্রথমে নিজেই সম্পর্ক সৃষ্টি করে পরে সেসব ব্যাক্তির কাছে বিভিন্ন মেয়েদেকে পাঠায় নুসরাত। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।

নুসরাতের ফাঁ’দে পা দেওয়া একটি মেয়ের একজন নিকটাত্মীয় জানান, নুসরাত তার কলেজ পড়ুয়া আত্মীয়কে ব্যাংকের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ আছে বলে একজনের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ঐ মেয়েকে টাকার লোভ দেখিয়ে শারারিক সম্পর্ক স্থাপনে বা’ধ্য করেন। এরপর থেকেই ঐ মেয়েকে একাজে নিয়মিত ব্যবহার করছেন নুসরাত।

অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে, নুসরাত শুধু একাই অ’পকর্মে জড়িত থাকেননি। তিনি নিজের স্বামী মিজানুর রহমান সানিকে দিয়ে মা’দক ব্যবসাও শুরু করেছিলেন।

নুসরাতের স্বামী মিজানুর রহমান সানি কুমিল্লা বর্ডার থেকে পেসিডিলসহ বিভিন্ন মা’দক এনে শহরে বিক্রি করতো। সে নিজেও এসব সেবন করতো। বর্ডার থেকে মা’দক কিনতে গিয়ে দুবার পুলিশের হাতে আ’টকও হন নুসরাতের স্বামী সানি। আ’টকের পর সানির বি’রুদ্ধে দুবারই মা’দক ব্যবসার মা’মলা করে পুলিশ।

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল লা’শ উ’দ্ধার করা হয় মোসারাত জাহান মুনিয়ার (২১)। এ ঘটনায় তার বোন বা’দী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহ’’ত্যার প্ররোচনার অ’ভিযোগ এনে একটি মা’মলা করেন।

এরপর গত ২ মে মুনিয়ার মৃ’ত্যুকে হ’’ত্যা উল্লেখ করে মুনিয়া ও নুসরাতের বড় ভাই শফিকুর রহমান সবুজ আ’দালতে জাতীয় সং’সদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সং’সদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে আ’সামি করে আরেকটি মা’মলা করেন।

মুনিয়ার আত্মহ’’ত্যার প্ররোচনার মা’মলাটি ত’দন্ত করছেন গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান। তিনি বলেন, মা’মলার ত’দন্তে অনেক তথ্যই আসছে। সেগুলো আমরা যাছাই বাছাই করে দেখছি। সূত্রঃ সিটিজেন নিউজ২৪