পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন মামুনুল হক

| আপডেট :  ১০ মে ২০২১, ১২:১৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ মে ২০২১, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে স্থানীয়দের কর্তৃক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচিত হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এবার জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পুলিশের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামুনুল হক পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই লাবায়িকের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ভগ্নিপতি নেয়ামুল উল্লাহর মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন তিনি। মামুনুল হকের লক্ষ্য ছিলো তিনি হেফাজত ইসলামকে এই জঙ্গি সংগঠনের আদলে গড়ে তুলবেন। এমনকি মামুনুল হক এর জেরে পাকিস্তানও ভ্রমণ করেছিলেন।

শুধু মামুনুল হকই নয় এমন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা আছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আরও কয়েকজন নেতা ও তাদের পরিবারের। তাদের অনেকেই সাংগঠনিক কাজে সফর করেছেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেও। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান মডেলের রাষ্ট্র বানানোর।

এই তালিকায় রয়েছে সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে সহিংসতা ও তাণ্ডবের দায়ে পুলিশের হাতে আটক হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারও। তিনি ২০০৯ সালে মার্কিন দূতাবাস ও ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই- তৈয়বার কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

এছাড়া, ২০১০ সালে জঙ্গি সংগঠন-হারকাতুল জিহাদ আল ইসলামী-হুজি আমির ইয়াহিয়া জানান, হারুন ইজহারের মাদরাসায় হুজির আঞ্চলিক শাখা খোলা হয়েছিলো। ২০১৩ সালের হারুন ইজহার পরিচালিত চট্টগ্রামের লালখান বাজারের ওই মাদরাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত হয় দুজন। উদ্ধার করা হয়, গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।

১৯৯৯ সালে কবি শামসুর রাহমানের ওপর হামলার অভিযোগে আটক হওয়া জঙ্গিরা জানান, হারুন ইজহারের মাদরাসায় বসেই এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়। হারুন ইজহারের বাবা হেফাজতে সাবেক নায়েবে আমির মুফতি ইজহার আশির দশকে তালেবানদের পক্ষে জিহাদের অংশ নিতে আফগানিস্তানে যান। জঙ্গি সংগঠন-হুজি সম্পৃক্ততায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন হেফাজতের এই সাবেক নায়েবে আমির।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) সরাসরি বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অর্থের জোগান দিচ্ছে।