ভারতকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে শক্তিশালী করোনা এখন বাংলাদেশে!

| আপডেট :  ৮ মে ২০২১, ০৩:৫১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ মে ২০২১, ০৩:৫১ অপরাহ্ণ

আশঙ্কাকে সত্যে পরিণত করে বাংলাদেশে প্রথমবার সনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের ভারতীয় স্ট্রেইন। অনেক আগেই এই ভাইরাস ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছিল। তবে লাভ হয়নি। আজ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করে এই নতুন ধরন সনাক্ত হয়। বলা হচ্ছে যে, করোনার এই ভারতীয় ধরন অন্যগুলোর চেয়ে ১০ গুণ শক্তিশালী। এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের বর্তমান অবস্থাই তার সবচয়ে বড় প্রমাণ।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮টি দেশে করোনার এই নতুন ভারতীয় স্ট্রেইন সনাক্ত হয়েছে। দ্য সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি) করোনা ভাইরাসের N440K ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পেয়েছে। এটি মূল ভাইরাসের থেকে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। ভারতে N440K ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর আগে এটা ছিল ৪.৯ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে তা দাঁড়ায় ৮.৮২ শতাংশে। ভারতের পরেই এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি আমেরিকা এবং জার্মানি।

সিসিএমবির প্রধান রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন, খুব কম সময়ের মধ্যে বৃহৎ সংখ্যার মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তারা যে নমুনা সংগ্রহ করেছিল, তার ৫০ শতাংশের মধ্যেই N440K ভ্যারিয়েন্ট পাওযা গেছে। এটা একটা নির্দিষ্ট অংশের মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পাঁচ বিজ্ঞানী বলেছেন, ভারত সরকার যদি বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা শুনত তাহলে এত খারাপ অবস্থা হতো না।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিজ্ঞানীরা প্রথম করোনার ভারতীয় ধরন (বি.১.৬১৭) শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্স। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য অজয় পারিদা জানিয়েছেন, মার্চের শুরুতেই সম্ভাব্য ভয়ংকর পরিণতির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। তবে এসব সতর্ক বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পৌঁছেছিল কিনা, তা নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীদের এই সতর্কবার্তায় ভারত সরকার কান না দেওয়ায় এখন হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছে!