শারুনের ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়ন করেছে নুসরাত?

| আপডেট :  ৭ মে ২০২১, ০৫:৪৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ মে ২০২১, ০৫:৩৮ অপরাহ্ণ

গুলশানের একটি ফ্লাটে মুনিয়ার মৃ’ত্যুর’হস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তার এই আত্মহ’’ত্যার ঘটনার পর যে অপমৃ’ত্যুর মা’মলা ও নাটক সাজানো হয়েছে, সেটির পেছনে চট্টগ্রামের সাবেক হুইপ সামসুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম শারুনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শুরুতেই বলেছিলো যে শারুনকে তারা জি’জ্ঞাসাবাদ করবে।

অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, নুসরাতের অতিউৎসাহ এবং সরাসরি বসুন্ধরার এমডির বি’রুদ্ধে মা’মলা দা’য়ের ইত্যাদি সবই হয়েছে শারুনের প্ররোচনায় এবং নির্দেশনায়। আর এই ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য উপাত্ত এখন সামনে চলে আসছে। মুনিয়ার সঙ্গে শারুনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিলো এবং মুনিয়া শারুনকে ব্যবহার করতেন। এই ব্যবহারের বি’ষয়টি মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়াও জানতেন।

নুসরাত তানিয়াকে দিয়েই শারুন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। শারুন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চা’পের মুখে ছিলেন। বিশেষ করে একজন ব্যাংক কর্মর্তার আত্মহ’’ত্যা নিয়ে সারা দেশে যখন তোলপাড় তখন ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী স’ন্তান যখন ঢাকায় এসে বিচার দাবি করলেন তখন শারুনের অবস্থা অত্যন্ত বেগতিক।

আর এ কারণে যেসব গণমাধ্যম এ ব্যাপারে সোচ্চার তাদেরকে একহাত দেখে নেয়ার নীলনকশা করেন শারুন, এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে অনুন্ধানে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে নুসরাত, শারুন, মুনিয়ার ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিলো। মুনিয়া যখন আত্মহ’’ত্যা করে তখন এই আত্মহ’’ত্যাকে কাজে লাগিয়ে তার প্রতিপক্ষকে, যারা তার ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করেছে তাদেরকে ফাঁ’সিয়ে দেয়ার এক নীলনকশা গ্রহণ করেন।

যদি নুসরাতের স্বামীর কললিস্ট দেখা যায় তাহলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসবে। অনেকে মনে করছেন যখন মুনিয়া আত্মহ’’ত্যা করলো তখনই নুসরাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন শারুন। তখনই এই আত্মহ’’ত্যার জন্য বসুন্ধরার এমডিকে সরাসরি অ’ভিযুক্ত করে মা’মলা দেয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মা’রা যাবে বলে এই পরিকল্পনা এটেছিলেন শারুন।

এ কারণে আত্মহ’’ত্যা প্ররোচনা মা’মলায় সরাসরি একজনকে অ’ভিযুক্ত করে মা’মলা দিয়েছেন। সাধারণত আত্মহ’’ত্যা প্ররোচনা মা’মলায় কোনো ব্যক্তির নাম থাকে না, বলা হয় যে কেউ হয়তো প্ররোচনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে এই ঘটনার ব্যত্যয় ঘটেছে। নুসরাত মুনিয়ার মৃ’ত্যুর পর থানায় ‍গিয়ে সরাসরি তার বি’রুদ্ধে মা’মলা দিয়েছেন। অনেকে প্রশ্ন করেছেন নুসরাত যে থানায় গেলেন তখন দামি গাড়ি এই গাড়িগুলো কার। বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে এই গাড়িগুলো শারুনই সরবরাহ করেছিলো ।

একাধিক সূত্র বলছে, শারুনের সঙ্গে মুনিয়ার যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের ফায়দা নিতেন নুসরাত এবং নুসরাত নানা কারণে শারুনের কাছে দায়বদ্ধ ছিলো। এ কারণে মুনিয়াকে ব্যাপকভাবে চা’প দিয়েছিলো শারুন। আর সে কারণে মুনিয়ার মৃ’ত্যু হয় কি না বা আত্মহ’’ত্যা করে কি না সেটি নিয়ে ত’দন্ত চলছে। এ নিয়ে মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সুবজ একটি মা’মলা করেছেন যে শারুনের লোকজন মুনিয়াকে হ’’ত্যা করেছে। হ’’ত্যা করুক বা আত্মহ’’ত্যা করুক সেটি ত’দন্ত সাপেক্ষ বি’ষয়। কিন্তু নুসরাত ঢাকায় আাসর পর তার সঙ্গে শারুনের একাধিকবার কথোপেকথন হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে নুসরাতের স্বামীর টেলিফোন লিস্ট খতিয়ে দেখলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। শারুন নিজের বি’রুদ্ধে আত্মহ’’ত্যা প্ররোচনা মা’মলা আড়াল করার জন্যই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে ফাঁ’সিয়ে দেয়ার জন্যই নুসরাতকে ব্যবহার করেছেন। আর এর বিনিময়ে নুসরাত কি লাভবান হয়েছেন সেটি নিয়েও ত’দন্ত করা দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।