চীনা রকেট আ’তঙ্ক; আছড়ে পড়ার আ’শঙ্কা যেসব দেশে!

| আপডেট :  ৭ মে ২০২১, ০৫:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ মে ২০২১, ০৫:১৫ অপরাহ্ণ

চীনের প্রথম স্থায়ী মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা রকে’টের বড় অংশটি শনিবার সকালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। আ’শঙ্কা করা হচ্ছে এটি পৃথিবীর যেকোন জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে।

সম্প্রতি চীন থেকে নি’ক্ষেপ করার পর ‘লং মার্চ ফাইভ বি’ নামের ২১ টন ওজনের রকেটটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সচরাচর পরিত্যক্ত রকেট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে ধ্বং’স করে দেওয়া হয়। কিন্তু চীনা রকে’টের অংশটিকে তেমন কিছু করা হয়নি। তাই ১০০ ফুট লম্বা মূল অভ্যন্তরীণ অংশ প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে।

মঙ্গলবার মা’র্কিন প্রতিরক্ষা দফতর জানায়, রকে’টের অংশটি শনিবার পৃথিবীতে এসে পড়বে। এটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগে বলা যাবে না, কোথায় গিয়ে আ’ঘাত হানবে।এয়ারোস্পেস কর্পোরেশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলো অতিক্রম করে বি’ষুবরেখার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে আ’ঘাত হানতে পারে রকে’টের ধ্বং’সাবশেষ।

অক্সিজেনের পর এবার নতুন যে সং’কটে পড়তে যাচ্ছে ভারত, জানালেন ডা. দেবী শেঠি

প্রা’ণঘা’তী ক’রোনাভা’ইরাসের তা’ণ্ডবে মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে ভারতে। এরই মধ্যে এই ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত রো’গীদের চিকিৎসায় দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের তীব্র সং’কট। সেই সঙ্গে রয়েছে আইসিইউ বেডের সং’কট। এর মধ্যেই নতুন শঙ্কার কথা জানালেন বিশ্বখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. দেবী শেঠি।

তিনি বলেছেন, অক্সিজেন সং’কট সমাধান হয়ে গেলেও আরেকটি স’মস্যা নতুন করে প্রকট আকার ধারণ করবে। তা হলো- আইসিইউতে থাকা রো’গীদের মৃ’ত্যু। কারণ, তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো যথেষ্ট নার্স-চিকিৎসক পাওয়া যাবে না। তখন চিকিৎসক ও নার্সের ঘাটতি মেটানো বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতের সিম্বিয়োসিস ইন্টারন্যাশনাল (ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়) আয়োজিত স্বা’স্থ্যসেবা নিয়ে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সেখানে এমন আ’শঙ্কার কথা জানান তিনি।

ওই ভার্চুয়াল সম্মেলনে ডা. শেঠি বলেন সতর্ক করে বলেন,“ম’হামা’রীর শুরু থেকে যেসব চিকিৎসক-নার্সরা কাজ করছেন, তাদের অনেকের বার্নআউট হচ্ছে। আবার অনেকে সংক্রমিতও হয়ে পড়ছেন।

মে মাসে প্রচণ্ড গরম হতে পারে। তখন শা’রীরিকভাবে সক্ষম চিকিৎসক-নার্সের পক্ষে কোভিড আইসিইউতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তখন একটা বড় সং’কটে পড়বে দেশ।”

ডা. শেঠি এক পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন, ভারতে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ লাখ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। পরিসংখ্যানগতভাবে বয়স নির্বিশেষে মোট কোভিড রো’গীদের পাঁচ শতাংশের জন্য আইসিইউ বেডের প্রয়োজন। এর মানে হলো ভারতে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার

আইসিইউ বেডের চাহিদা আছে। কিন্তু, ভারতে আইসিইউ বেড আছে ৭০ থেকে ৯০ হাজারের মতো। এর সবই এখন রো’গী দিয়ে পূর্ণ। অথচ ম’হামা’রীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সং’ক্র’মণ এখনও শীর্ষে পৌঁছায়নি।

এদিকে, একজন কোভিড রো’গীর কমপক্ষে ১০ দিন আইসিইউতে থাকতে হয়। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত পাঁচ লাখ অতিরিক্ত আইসিইউ বেড তৈরি করা প্রয়োজন।”