সরকারের অনুমতি পেলেই লন্ডন নেয়া হবে খালেদা জিয়াকে

| আপডেট :  ৬ মে ২০২১, ০৭:১১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ মে ২০২১, ০৭:১১ পূর্বাহ্ণ

করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া৷ ইতোমধ্যে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর বর্তমানে আইন মন্ত্রনালয়ে রয়েছে।

এমন পরিস্থিতি খালেদা জিয়ার পরিবার এবং বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে এবং সরকারের অনুমতি পাওয়ামাত্র তাকে চার্টার্ড বিমানে করে সিঙ্গাপুর হয়ে লন্ডন নেয়া হবে। সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদল এবং পরিবারের সদস্যরাও থাকবেন। এমনকি খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে পারলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতো। কারণ সিঙ্গাপুরের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের মনোভাব কিছুটা নমনীয়। কিন্তু সেখানে এই মুহূর্তে বাংলাদেশিদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ রয়েছে। একই সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে ১৪ দিন। এটা খালেদা জিয়ার জন্য বেশ কঠিন হবে। ফলে বিএনপি এটিকে ভায়াবল মনে করছে না।

অপরদিকে লন্ডনে তারেক জিয়া অবস্থান করায় সেখানে অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক হিসেব রয়েছে। এছাড়া লন্ডনে নিতে হলে খালেদা জিয়াকে প্রায় ১০ ঘণ্টা আকাশপথে ভ্রমণ করতে হবে। এই দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল তিনি সইতে পারবেন কি না, চিকিত্সকদের মধ্যে সেই প্রশ্নও আছে। কারণ তাঁকে অক্সিজেন নিতে হচ্ছে।

এদিকে, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড সর্বশেষ অবস্থা পৎসলোচনা করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করে। এর পরপরই পরিবারের সদস্যরা একমত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন।