বিধবা ভাতার জন্য জীবিত স্বামীকে মৃত দেখালেন নারী

| আপডেট :  ৫ মে ২০২১, ০৩:১৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ মে ২০২১, ০৩:১৭ অপরাহ্ণ

৩৬ বছর বয়স্ক আসমা বেগম। পারবারিক কলহের জেরে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রথম স্বামীর সাথে। দ্বিতীয় স্বামীকে বিয়ে করে শুরু করেছেন নতুন সংসারও। ৫ বছর সংসারের পরই মৃত্যুবরণ করে দ্বিতীয় স্বামী। এমতাবস্থায় বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করেছেন আসমা বেগম।

তবে আসমা বেগম তার দ্বিতীয় স্বামীকে নয়, মৃত দেখিয়েছেন তার জীবিত থাকা সাবেক স্বামীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় প্রথম স্বামী হারুন-অর রশিদ নিজেকে মৃত প্রচার করায় সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর আজ বুধবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পত্র অনুযায়ী ২০০৫ সালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। উপজেলাধীন পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে হারুন অর রশীদ আকন্দের সাথে একই গ্রামের তাহির উদ্দিনের মেয়ে আসমা খাতুনের বিয়ে হয়। পরে সম্পর্কের টানাপড়েনে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার বেতন্দর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর স্বামী (আব্দুর রাজ্জাক) মারা যায়। ওই সংসারে আসমার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ২০২০-২১ অর্থবছরের বিধবা ভাতা ভোগীদের নির্বাচিত চূড়ান্ত তালিকায় (ক্রমিক নং ৭৩) আসমা খাতুনের নাম রয়েছে। ঘটনাটি জানতে পারেন ওই মহল্লার হারুন। তিনি বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে আসমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ কর হলে তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাবেক স্বামীর নাম রয়েছে তাই এ নাম ব্যবহার করেছেন। তবে জীবিত স্বামীকে মৃত দেখানোর প্রসঙ্গে তিনি বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোতালেব বলেন, আবেদনকারীকে আমি চিনি, এ ব্যাপারে আমি কোনো মৃত্যু সনদও দেইনি। বিষয়টি জানতে পেরে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজকর্মী আনিসুর রহমানকে আসমা খাতুনের বিধবা ভাতার বইটি বাতিল করতে বলা হয়েছে।