সব
নওগাঁর রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর সঙ্গে স্কুলের এক ছা’ত্রীর ‘অ’নৈতিক ‘কর্মকাণ্ডের’ ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ওই শিক্ষকের বি’রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দা’বি জানিয়েছেন স্কু’লছাত্রীদের অবিভাবক ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজে’লার বেলোবাড়ি গ্রামের সাদেকুল ইসলাম পিটু প্রায় ১০-১২ বছর আগে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ের ছা’ত্রীদের পাইভেট পড়াতেন। চলতি বছরে তিনি সহকারী শিক্ষক (লাইব্রেরিয়ান ও তথ্য বিজ্ঞান) হয়েছেন। এরই মাঝে স্কুলের এক ছা’ত্রীর স’ঙ্গে তার ‘অ’নৈতিক স’ম্পর্ক’ গড়ে ওঠে।
ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে গত বছর স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়। সেই সময় স্থানীয় এক প্র’ভাবশালী নেতার হস্তক্ষেপে বি’ষয়টি ধা’মচা’পা দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই শিক্ষক ও ছা’ত্রীর অ’নৈতিক ক’র্মকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে ভা’ইরাল হয়। বি’ষয়টি দেখে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষো’ভ ও স’মালোচনা তৈরি হয়েছে।
ছাত্রীদের অবিভাবকরা জানান, শি’ক্ষক যদি ছা’ত্রীর স’ঙ্গে এমন অ’নৈতিক ক’র্মকাণ্ডে জড়ায় সেই বিদ্যালয়ে মেয়েরা কিভাবে নিরাপদ। দ্রুত ওই শি’ক্ষকদের বি’রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দা’বি করেছেন তারা।
এ বি’ষয়ে অ’ভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর সঙ্গে মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বি’ষয়ে লিখিত অ’ভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ওই শিক্ষকের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম হোসেন গোল্লা বলেন, বি’ষয়টি আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষককের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাব।
রাণীনগর উপজে’লা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার বি’ষয়টি জানা নেই। বি’ষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’ রাণীনগর উপজে’লা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘বি’ষয়টি ত’দন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হবে।