মধ্যরাতে বিধবার ঘরে মেম্বার! অতঃপর…

| আপডেট :  ২ মে ২০২১, ০২:৫০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ মে ২০২১, ০২:৪৮ অপরাহ্ণ

মধ্যরাতে এক বিধবা নারীর ঘর থেকে এক মেম্বারকে আ’ট’ক করেছে এলাকাবাসী। রাতে ওই ঘরে মেম্বারে উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরেরে বাইরে থেকে তালা মে’রে দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের নিয়ে বসে সালিস। সেই সালিসে দুজনই বিয়েতে সম্মতি দিলে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। ঘটনা শুনে পু’লিশ আসার আগেই বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।

পরে পু’লিশ ফিরে যায় থা’নায়। আর বিয়ে করে মেম্বার ওই নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রবিবার (২ মে) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজে’লার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে এ বিয়ে পড়ানো হয়। অ’ভিযু’ক্ত মো. সাইফুল ইস’লাম উপজে’লার উচাখিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

স্থানীয় সূত্র ও পু’লিশ জানায়, ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইস’লাম চার স’ন্তানের জনক। গত শনিবার গভীর রাতে তিনি তাঁর ওয়ার্ডের এক নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। ওই নারীর স্বামী প্রায় পাঁচ বছর আগে মা’রা গেলেও তার দুটি স’ন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় রাত ১২টার পর এলাকার লোকজন ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে মেম্বার সাইফুল ইস’লামসহ নারীকে ঘরে আ’ট’কে রাখে।

এলাকাবাসী থেকে ঘটনার খবর পায় ঈশ্বরগঞ্জ থা’না পু’লিশ। এক পর্যায়ে উপপরিদর্শক মো. রেজাউল করিম রাত ১টার দিকে তাদের থা’নায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সালিসকারীরা তাকে বাঁ’ধা দেয়। রাতভর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ওই নারী রাজী থাকলে মেম্বার সাইফুল ইস’লাম তাকে বিয়ে করবেন। পরে আজ রবিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় কাজী ডেকে এনে সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের প বিধবা নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মেম্বার সাইফুল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নয়ন মিয়া বলেন, অনেক লোকজনের সামনে ওই নারী জানিয়েছেন- বিধবা ভাতার কার্ড দিবে বলে তাঁর সাথে সর্ম্পক করে মেম্বার। এ অবস্থায় গত দুই বছর ধরে সর্ম্পক চলছে।

এ বি’ষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থা’নার উপপরিদর্শক মো. রেজাউল করিম জানান, বিধবা ভাতার কার্ডের তথ্য নিতে আজ রাতে আসছিলেন মেম্বার। এর আগেও এসেছেন। দুজনই তিনি বিয়ে করতে রাজী। বিয়ে করলে ওই নারী কোনো অ’ভিযোগ করবেন না। এ অবস্থায় দুজনকে রেখেই চলে এসেছেন।

বিয়ের কাজী মাহববুব জানান, তাকে সকালে ডেকে আনা হয়েছে। পরে এসে জানতে পারেন দুজনকে বিয়ে পড়াতে হবে। এ অবস্থায় দুজনের সম্মতিতেই বিয়ে পড়ানো হয়। মেম্বারের প্রথম স্ত্রী’র অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে কাজী বলেন, এটা একটা খসড়া করেছি। মেম্বার বলেছেন আগামি ২/৩ দিনের মধ্যে তাঁর প্রথম স্ত্রী’র অনুমতি এনে দেবেন। না দিলে রেজিস্ট্রি হবে না। এ ঘটনাটি জানতে সাইফুল মেম্বারের মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে ফোন ধরেন অন্য একজন। তিনি বলেন, ‘চাচা ফোন রাইখ্যা ঘুমাইছে।’