ফেঁ’সে যাচ্ছেন মুনিয়ার বোন-দুলাভাই

| আপডেট :  ২ মে ২০২১, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ মে ২০২১, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

গুলশানের একটি ফ্লাটে মৃ’ত অবস্থায় পাওয়া যায় মুনিয়াকে। মুনিয়াকে নিয়ে বাংলাদেশে বেশ চাঞ্চল্যতা চলছে। যে যেমন পারছে মুনিয়াকে নিয়ে মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন করছে।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন শুধু মুনিয়া ইস্যুতেই তোলপাড় চলছে। এসব লেখাতে মুনিয়ার জন্য কোনো শোক, দুঃখ, অনুতাপ নেই বরং তাকে নিয়ে এক ধরনের ব্যবসা, যৌ’ন উ’ত্তে’জনা সৃষ্টির অরূচিকর প্রয়াস এবং একটি বিশেষ মহলকে ঘায়েল করার প্রা’ণান্ত চেষ্টা লক্ষ্যণীয়।

সামাজিক মাধ্যমের এসব খবরের কারণে মুনয়ার মৃ’ত্যুর মূল র’হস্য উদঘাটনই ব্যহত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মুনিয়ার এই আ’ত্মহ’ত্যার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ত’দন্ত করছে। বিশেষ করে এই আ’ত্মহ’ত্যা’র পেছনে কারও প্র’রোচনা আছে কি না সেটিই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ত’দন্তের মূল বিষয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, মুনিয়ার ৬টি ডাইরি ত’দন্তের ক্ষেত্রে একটি বড় উপজীব্য হিসেবে তাদের জন্য কাজ করবে।

আর এই ডাইরিগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, মুনিয়ার আহাজারী-আর্তনাদ এবং ডাইরিগুলো পড়লে বোঝা যায় যাকে অ’ভিযু’ক্ত করে মুনিয়ার বোন আ’ত্মহ’ত্যার প্র’রোচনার মা’মলা করেছেন তার সঙ্গে মুনিয়ার দীর্ঘদিন ধরেই যোগাযোগ ছিলো না। আর এই যোগাযোগ না থাকার কারণেই মুনিয়ার এক ধরনের হতাশা-আবেগ কাজ করেছে।

কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে। মুনিয়ার বোন নুসরাত যিনি কুমিল্লায় থাকেন তিনি মূলত মুনিয়াকেই ব্যবহার করতেন। নুসরাতের সমস্ত আর্থিক খরচ মুনিয়াই দিতেন এবং মুনিয়ার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে স’ম্পর্ক বিশেষ করে ধনাঢ্য লোকদের সঙ্গে স’ম্পর্ক ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করা অর্থ দিয়েই নুসরাত ও তার পরিবার চলতেন।

আর নুসরাতের কারণেই মুনিয়ার ওপর একটি মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছিলো। বিশেষ করে একের পর এক অর্থের দাবি আর এই কারণে মুনিয়ার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং স’ম্পর্ক করা নিয়ে এক ধরনের হতাশায় পড়েছিলেন মুনিয়া। আর এ কারণেই এই ঘটনায় নতুন মোড় নিচ্ছে। মুনিয়ার বোন নুসরাত এখন আ’ত্মহ’ত্যার প্র’রোচনা মা’মলায় আলোচনায় আসছে। নুসরাতের অ’তি উৎসাহ এবং এক ধরনের ব্যবসায়ীক মনোবৃত্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজর এড়ায়নি।

বরং মূলধারার গণমাধ্যম এবং সামাজিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন ট’কশোতে উপস্থিত হওয়া তার একমাত্র লক্ষ্য। আর এসব কিছুতে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছেন নুসরাত। তাতে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে কোনোভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নুসরাত এটি করছেন। মুনিয়ার মৃ’ত্যুর পর নুসরাতের যে তৎপরতা সেটি সকলকেই হতবাক করে দিয়েছে। এমনকি মুনিয়ার পরিবারের অন্য সদস্যরাও নুসরাতের এই আচরণে হতবাক হয়ে পড়েছেন।

এখন এই সূত্র ধরে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেখছেন যে নুসরাত আসলে বিভিন্ন সময় মুনিয়াকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। আর ওই চাপের কারণে তাকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে স’ম্পর্ক করতে হতো এবং টাকা যোগাড় করতে হতো। আর এটি করতে গিয়ে তিনি অনেকের কাছেই এক্সপোজড হয়ে যান। সে কারণেই মুনিয়ার মধ্যে এক ধরনের আ’ত্মহ’ত্যা প্র’রোচনা তৈরি হয়েছিলো কি না এটিও তারা দেখছেন।

এই ঘটনায় নুসরাত যদিও বাদী হয়েছেন কিন্তু বাংলাদেশে দেখা গেছে আ’ত্মহ’ত্যার প্র’রোচনায় বহু বাদী প্র’রোচনাকারী হিসেবে ত’দন্তে প্রমাণিত হয়েছে। নুসরাতও এমনটি হবে কি না সেটিই দেখার বিষয়।