আমাদের দা’ম্পত্য জীবন চ’রমভাবে বি’ষিয়ে তো’লে মামুনুল: ঝর্ণার মা’মলা (ভিডিও)

| আপডেট :  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশ: হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হকের বি’রুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণা মা’মলা করেছেন। মা’মলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর বসিলার একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উ’দ্ধার করে পুলিশ। এরপর ঝর্ণাকে দেওয়া হয় তার বাবার জিম্মায়। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন আইনে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধ”ণের অ’ভিযোগে মা’মলা দা’য়ের করেছেন ঝর্ণা।

মা’মলার এজাহারে ঝর্ণা উল্লেখ করেছেন, তার প্রথম স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মামুনুল। তাদের দাম্পত্য জীবন বি’ষিয়ে তুলেছিলেন তিনি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিয়ের আশ্বাসে মামুনুল আমার সঙ্গে একাধিকবার শা’রীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে মামুনুল। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।

ঝর্ণা বলেন, ২০০৫ সালে মামুনুলের সঙ্গে তার পরিচয়। শহীদুলের মাধ্যমেই এই পরিচয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় তাদের বাড়িতে মামুনুলের ছিল অবাধ যাতায়াত। ‘মামুনুল আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন এবং আমাদের দাম্পত্য জীবন চ’রমভাবে বি’ষিয়ে তোলেন। সাংসারিক এই টানাপোড়েনে একপর্যায়ে মামুনুলের পরামর্শে আমাদের তা’লা’ক হয়।’ রয়্যাল রিসোর্টকাণ্ডের বি’ষয়ে ঝর্ণা বলেন, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল হক নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে কিছু মানুষ আমাদের আ’টক করে ফে’লে। পরে মামুনুল হকের অনুসারীরা রিসোর্টে হা’মলা করে আমাদের নিয়ে যায়। রিসোর্টকাণ্ডের পর পরিচিতজনের বাসায় জো’রপূর্বক আ’টকে রাখেন মামুনুল, যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি বাবা-মাসহ কারও সঙ্গে।

তিনি বলেন, পুলিশ আমাকে উ’দ্ধারের পর বাবার জিম্মায় দেয়। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করায় অ’ভিযোগ দা’য়ের করতে বিলম্ব হয়। এর আগে গত ১১ এপ্রিল ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান জামি রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ছাড়া ২৬ এপ্রিল ঝর্ণার বাবা মেয়েকে উ’দ্ধারের জন্য কলাবাগান থানায় আরেকটি জি’ডি করেন। জি’ডিতে ঝর্ণার বাবার অ’ভিযোগ, মামুনুল হক ঝর্ণার সুখের প্রথম সংসার ভে’ঙে দিয়েছে। সেই সংসারে দুটি স’ন্তান রয়েছে। একপর্যায়ে জীবনের তাগিদে কাজের সন্ধানে ঝর্ণা ঢাকায় এসে উত্তর ধানমন্ডির একটি বাসায় উঠে।

জি’ডিতে আরও বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঘটনার পর তিনি জানতে পারেন যে, তার মেয়েকে ইসলামি শরিয়তের বিধান মোতাবেক বিয়ের আশ্বাসে শা’রীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বা’ধ্য করেন মামুনুল হক। ওই ঘটনার পর তিনি তার মেয়ের ঢাকার ঠিকানায় এসে মেয়েকে না পাওয়ায় মনে করেন মামুনুল হকের লোকজন তার মেয়েকে অপকৌশল করে ও ভ’য়ভীতি দেখিয়ে অ’জ্ঞাত স্থানে আ’টকে রেখেছেন।

ঝর্ণার বাবা জি’ডিতে আরও বলেন, জি’ডি করার দুদিন আগে ঝর্ণা ফোন করে তার ছেলেকে জানান, তিনি গৃহব’ন্দি অবস্থায় আছেন। তার ও’পর চা’প প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ জন্য তাকে জরুরি ভিত্তিতে উ’দ্ধার করতে বলা হয়। এ ছাড়া যে কোনো সময় তাকে মে’রে ফেলা হতে পারেও বলে জানান।

আবেদনের প্রেক্ষিতে গো’য়েন্দা পুলিশের একটি দল জান্নাত আরা ঝর্ণার অবস্থান জানার চেষ্টা করেন। গো’পন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে মোহাম্ম’দপুরের একটি বাসায় ঝর্ণাকে আ’টকে রাখা হয়েছে। পরে সেখানে অ’ভিযান চা’লিয়ে তাকে উ’দ্ধার করা হয়। যে বাসা থেকে ঝর্ণাকে উ’দ্ধার করা হয় সেটি মামুনুল হকের বোন দিলরুবার বাসা বলে জানিয়েছে পুলিশ।