বসুন্ধরা এমডির দেশত্যাগ আটকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় পুলিশ

| আপডেট :  ২৯ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ এপ্রিল ২০২১, ০১:৫৭ অপরাহ্ণ

কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি মামলা হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আনভীরের দেশত্যাগের বিষয়েও। আর এমন পরিস্থিতেতে বসুন্ধরার এমডি যেন কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগের গুজব তৈরি হলেও দুটি পাসপোর্টধারী এই ব্যক্তি ২৬-২৭ ধারা অনুযায়ী এখনও দেশ ত্যাগ করেনি। বিষয়টি ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিত করেছে। আর আমরা বর্তমানে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যকে প্রধান হিসেবে নিচ্ছি।

এদিকে, কলেজছাত্রী মুনিরার কক্ষ থেকে ৬ টি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া মুনিয়ার ৬টি ডায়রিতে সরাসরি সুইসাইড নোট না থাকলেও আসামির সঙ্গে মুনিয়ার সম্পর্কের টানাপড়েন এবং সম্পর্কের স্বীকৃতি আদায় নিয়ে নানা বর্ণনা আছে।

এ বিষয়ে সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ডায়রিতে বিভিন্ন দিনের যে চিত্র আছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার ভেতরে মানসিক দ্বন্দের যে উদ্ভব সেটা আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। সরাসরি সুইসাইডাল নোট না লিখলেও তার প্রচন্ত মানসিক কষ্টগুলো ফুটে উঠেছে।

অপরদিকে, সুরতহালের সময় উপস্থিত থাকা মুনিরার বোনের দাবি, তিনি আত্মহত্যার কোনো আলামত দেখেননি। তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি ফাঁস দেয় তাহলে হাত-পা ছুড়াছুড়ি করলে টুলটা পড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু টুলটা পড়েনি। টুলের দুইপাশে তার পা ঝুঁলে রয়েছে আর পা বাকানো ছিল এবং বিছানাও পরিপাটি ছিল। উনি এখনো দেশে থাকা সত্ত্বেও প্রসাশন কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না এটা সবাই জানতে চায়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য রাষ্ট্রের সবোর্চ্চ সহযোগিতাও আশা করেন তিনি।