এসএসসি পাস না করেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, রোগী দেখছেন ১০ বছর!

| আপডেট :  ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নিজেকে পরিচয় দেন নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে। প্রায় ১০ বছর যাবৎ রোগী দেখছেন বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জানা গেছে তিনি করতে পারেননি এসএসসি পাসও।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ায়। অভিযুক্ত এম কে এইচ খান বিজয়ের এসএসসি পাস না করলেও দাবি করতেন তিনি এমবিবিএস পাস করেছেন। কিন্তু গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার কুষ্টিয়া অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে র‌্যাব ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালালে বেরিয়ে আসে প্রকৃত সত্যি।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এম কে এইচ সিলেটের ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেলের ছাত্র বলে দাবি করেন। তিনি জানান, ওই মেডিকেলে পড়াশোনা করলেজ নানা জটিলতায় কোনো সনদ পাননি। আর সবকিছু গোপন করে কুষ্টিয়া শহরের বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসক সেজে রোগী দেখে ও অপারেশন করে আসছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান জানান, অভিযুক্ত এম কে এইচ খান বিজয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ইস্যু করা একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর নকল করে ভুয়া সনদ তৈরি করেন। যাচাই করে দেখা যায়, আইডিটি সাতক্ষীরা জেলার একজন চিকিৎসকের, যিনি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।

এসময় তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত এম কে এইচ খান বিজয় এসএসসি পাসও করেননি কিন্তু এমবিবিএস, এমসিপিএস ডিগ্রিধারী মেডিসিন ও বক্ষ-ব্যাধি বিশেষজ্ঞ দাবি করে আসছিলেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নথিপত্র পর্যালোচনা করে তাকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।

চিকিৎসকের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসককে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আর তাকে সহযোগিতা করার জন্য কুষ্টিয়া অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের মালিক সাইদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।