পুলিশের ডিআইজির অনুরোধে বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলাম: আদালতে মামুনুল

| আপডেট :  ২৬ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিন পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার একজনের অনুরোধে বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলেন বলে আ’দালতকে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হক। আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) রি’মান্ড শুনানি চলাকালে আ’দালতের অনুমতি নিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বিচারককে এসব কথা বলেন। আ’দালতকে তিনি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ আমি বাংলাবাজার জুমা মসজিদে পুলিশ প্রটেকশনে নামাজ পড়িয়েছি।

নামাজ শেষে জানতে পারি বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিরা জড়ো হয়েছে। এরপর একজন ডিআইজির অনুরোধে বায়তুল মোকাররম মসজিদে যাই, সেখানে আমাকে বক্তব্য রাখতে বলা হয়। তারপর ওইখানে আমি বক্তব্য রাখি। আমিতো কোনো অন্যায় করিনি। ভতিষ্যতে পুলিশ অনুরোধ করলে আমরা তো কোথাও যেতে পারবো না।’ এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুনুলের বক্তব্যে বি’ষয়ে কোর্টকে বলেন, তিনি এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না।

তবে আ’দালত মামুনুলকে বলতে বলেন। মামুনুল আবার বলেন, আপনি (আ’দালতের বিচারক) চাইলে আমার ওইদিনের কল রেকর্ড চেক করতে পারেন। পরে তার জা’মিন ও রি’মান্ড বি’ষয়ে শুনানি হয়। আ’সামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, পল্টন থানার দা’য়ের করা মা’মলায় বা’দী পক্ষের কোনো তথ্য ঠিক নেই। তিনি কোন হাসপাতালে ছিলেন তার কোনো তথ্য দেননি।

এদিন মোহাম্ম’দপুর থানার না’শকতার মা’মলায় সাত দিনের রি’মান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দালতে হাজির করা হয়। এ সময় ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের তা’ণ্ডবের ঘটনায় মতিঝিল থানার মা’মলা ও চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকারমে হেফাজতের তা’ণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানার মা’মলায় গ্রে’ফতার দেখিয়ে দশ

দিন করে মোট বিশ দিনের রি’মান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে পল্টন থানার মা’মলায় চার দিন ও মতিঝিল থানার মা’মলায় তিন দিন করে মোট ৭ দিন রি’মান্ড মঞ্জুর করেন আ’দালত।
শুনানি শেষে আ’দালত ৭ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৯ এপ্রিল ২০২০ সালের মোহাম্ম’দপুর থানার একটি ভা’ঙচুর ও না’শকতার মা’মলায় তাকে সাত দিনের রি’মান্ডে নিতে আবেদন করেন মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা মোহাম্ম’দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক। শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সেদিন তার সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্ম’দপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রে’ফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অ’বরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ অ’বরোধ কর্মসূচির নামে লা’ঠিসো’টা, ধা’রালো অ’স্ত্র ও আ’গ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও স’রকারি-বেস’রকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভা’ঙচুর ও অ’গ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মা’মলা করা হয়। এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে বায়তুল মোকারমে হেফাজতের তা’ণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় আরেকটি মা’মলা করা হয়। সুত্রঃ বিডি ২৪ লাইভ