সমঝোতার জন্য কমিটি ভাঙলো হেফাজত?

| আপডেট :  ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

গতরাতে আকস্মিকভাবে হেফাজতের কমিটি ভেঙে দিয়েছেন সংহঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। কমিটি ভেঙে দেয়ার পর আবার রাত ৩টার দিকে ৩ সদস্যের কমিটি করেছে এবং ভোরবেলায় কমিটিতে আরও দু’জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই অস্তিরতা থেকে বোঝা যায় সংগঠনটি কি পরিমাণ চাপের মধ্যে রয়েছে।

কোন পরিস্থিতিতে কেন কমিটি ভাঙা হলো এ নিয়ে হেফাজতের ভেতর বিভিন্ন মত পাওয়া গেছে। তারা বলছেন যে এই কমিটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের নেক নজরে আসা এবং আক্রশ থেকে বাঁচা। কারণ হেফাজতের যে গত কমিটি হয়েছিলো সেখানে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, জামায়াত-খেলাফতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের স্থান ছিলো।

সেখান থেকেই হেফাজত উগ্র রাজনীতির পথে পা বাড়ায়। এখন হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তখন হেফাজত এই কমিটি বাতিল করার মধ্য দিয়ে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো ৫ সদস্যের হেফাজতের নতুন আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে যিনি সরকারের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সদস্য সচিব রাখা হয়েছে নুরুল ইসলাম জিহাদীকে যার সঙ্গে সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসাভবনের হেফাজতের বৈঠকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া নতুন দুজনকে নেয়া হয়েছে আল্লামা সালাউদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দু’জনই জামায়াত ও জঙ্গি বিরোধী হিসেবে পরিচিত।

অর্থাৎ এই আহ্বায়ক কমিটির মধ্য দিয়ে সমঝোতার একটি বার্তা দিয়েছে যে তারা এখন নমনীয় অবস্থানের গেছে এবং সরকারের অনুগত হয়ে তারা কাজ করতে চায়।

কিন্তু জুনায়েদ বাবুনগরী নিজে থাকা অবস্থান এরকম সমঝোতা সম্ভব কি না বা এই কমিটি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য কি না সেটি একটি প্রশ্ন। সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হেফাজতের বিষয়ে সরকারের অবস্থান হলো কোনো হেফাজতের সঙ্গেই সরকার সমঝোতা করবে না।