৭ দিনের রিমান্ডে যা যা জানিয়েছেন মামুনুল হক: ডিসি হারুন

| আপডেট :  ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হক ২০০৫ সালে পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে বিভিন্ন না’শকতা ঘটনা ঘটিয়েছে। রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ রি’মান্ডে থাকা মামুনুল হকের বি’ষয়ে সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল মামুনুল হককের। সেখান থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বো’মা হা’মলা, অগ্নি সংযোগ ও সংহিতার ঘটনা ঘটায়। এছাড়া স’রকার উৎখাতে মামুনুল সব ধরনের পরিকল্পনাও করে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে ৪০ দিন অবস্থান করেন মামুনুল হক। সেখান থেকে জ’ঙ্গি ও উ’গ্রবা’দী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেয়ার পায়তারা করছিল। রি’মান্ডে শাপলা চত্বরে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কথার বি’ষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

ডিসি হারুন বলেন, ভগ্নিপতি নেয়ামত উল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জ’ঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় মামুনুলের। বঙ্গবন্ধুর খু’নি মেজর ডালিম হচ্ছেন মাওলানা মামুনুল হকের আপন ভায়রা ভাই। পাকিস্তানি জ’ঙ্গিগোষ্ঠী, গ্রে’নেড হা’মলার আ’সামি এবং জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে স’রকার উৎখাতের ছক এঁকেছিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল মোহাম্ম’দপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রে’প্তার করে ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পুলিশ (ডি’বি)। মামুনুল হকের বি’রুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তা’ণ্ডবের ঘটনায় দা’য়ের হওয়া একাধিক মা’মলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মোদিবি’রোধী আন্দোলনের সময়ও সহিং’সতা করায় একাধিক মা’মলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে।

ভারতে ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রতিদিনই দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং শনাক্ত সংখ্যার নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাসের ভারতীয় এবং নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত ভয়াবহ।

আর এরূপ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। আগামীকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকেই ১৪ দিনের সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সীমান্ত বন্ধ রাখার এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি জানান, ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মহামারি রূপ নেয়ায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারপরই সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দেশটির হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের চরম সংকট শুরু হয়েছে।