বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা ছিলো হেফাজতের

| আপডেট :  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ০৩:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ০৩:২৬ অপরাহ্ণ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজত নেতাদের তান্ডব ও মামুনুল হকের রিসোর্ট কান্ডের পর গ্রেফতার করা হয়েছে দলটির ১৫ এর ও অধিক শীর্ষ নেতাকে। আর এসকল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, ইসলাম রক্ষা নয় ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর আর হেফাজতের সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন। আর এসকল কাজে হেফাজতকে সমর্থনসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ইসলামি সমমনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের পরিকল্পনা ছিলো বাংলাদেশকে পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের মডেল বানানোর।

এছাড়া, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে হেফাজত নেতাদের বক্তা হিসেবে নিতে বাধ্য করার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। সাধারণত এসকল ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেই হেফাজত নেতারা বিভিন্ন উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করতো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালাতো।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, হেফাজতে ইসলাম নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন দাবি করলেও হেফাজতের শীর্ষ পদ দখল করে আছেন বিভিন্ন ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা মূলত তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন হেফাজতের মাধ্যমে। আর অধিকাংশ নেতার ধারণা, হেফাজতই এই মুহূর্তে একমাত্র সংগঠন যাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার যোগ্যতা আছে।

মাহবুব আলম আরও বলেন, ‘হেফাজতের অধিকাংশ নেতাই মনে করেন, হেফাজতই একমাত্র প্লাটফর্ম যেটা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের শিরা হিসেবে কাজে লাগতে পারে। এছাড়া ‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন’ নামক সংগঠন তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংগঠনটি সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল নিয়ন্ত্রণ করার কথাও স্বীকার করেছেন জিজ্ঞাসাবাদে।”

প্রসঙ্গত, চলতি বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের নাশকতার ঘটনাসহ ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনায় হওয়া মামলাসমূহের মধ্যে ৬৪টির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।