রিসোর্ট কান্ড: পুলিশের ডাকে ঝর্ণার ছেলে ঢাকায়

| আপডেট :  ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫২ অপরাহ্ণ

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয়দের কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছিলেন মামুনুল হক। স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে জানিয়েছিলেন সাথে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

কিন্তু পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীর সাথে মামুনুল হকের একটি কথোপকথনের রেকর্ড ভাইরাল হয় যেখানে মামুনুল হক দাবি করেন সাথে থাকা নারী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। পরিস্থিতির কারণে তিনি তাকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে মামুনুল হক লাইভে এসে পুনরায় দাবি করেন জান্নাত আরা ঝর্ণাকে তিনি ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেছেন এবং প্রথম স্ত্রীকে খুশি করতে মিথ্যা বলেছেন।

আর মানুনুল হকের বিয়ে নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখনই লাইভে আসেন ঝর্ণার বড় ছেলে আবদুর রহমান জামি। জামি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, তার বাবা শহিদুল ইসলাম এবং মা জান্নাত আরা ঝর্ণার সংসারে ভাঙনের পেছনে দায়ী ছিলেন মামুনুল।

এছাড়া, জামি তার মায়ের ঢাকার বাসা থেকে তার মায়ের হাতে লেখা একটি ডায়েরি খুঁজে পেয়েও সংবাদ মাধ্যমকে দেন। ওই ডায়েরিতে ঝর্ণা লিখেছিলেন, মামুনুলের সঙ্গে তার একটি চুক্তি হলেও তিনি তা ভঙ্গ করেছেন। পরবর্তীতে গত ১১ এপ্রিল রাজধানীর পল্টন থানায় সেই ডায়েরির নিরাপত্তা ও মায়ের সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়েরিও করে এই কিশোর।

এদিকে, এসব ঘটনার পর জামিকে পুলিশ খুলনা থেকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। শহিদুল ইসলাম এর বর্তমান স্ত্রী সালমা সুলতানা জানান, বৃহস্পতিবার জামিকে নিয়ে ঢাকায় আসে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘আব্দুর রহমান জামিকে পুলিশ ঢাকা যেতে বললে সে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পরে মাওয়া ঘাট থেকে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।’

আবদুর রহমানের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছে,এ প্রসঙ্গে সালমা সুলতানা বলেন, ‘পুলিশ ওর আম্মুর সঙ্গে দেখা করাইছে। ওর আম্মুকেও পুলিশ নিতে (পুলিশ হেফাজতে) পারে এটা বলছে।’ বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ছেলেটি এখন ঢাকায় আছে।’তবে তাকে কেন রাজধানীতে আনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।

প্রসঙ্গত, ঝর্ণা খুলনা থেকে ঢাকায় আসার পর ধানমন্ডিতে একটি বিউটিপার্লারে কাজ করতেন। তিনি রিসোর্টকাণ্ডের আগ পর্যন্ত নর্থ সার্কুলার রোডে একটি ফ্ল্যাটে সাবলেট থাকতেন।