মামুনুলের সহযোগী বিএনপি-জামায়াত, অর্থায়নে পাকিস্তান

| আপডেট :  ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ

রিসোর্টকান্ডের পর সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজত ইসলামের আলোচিত নেতা মামুনুল হককে। গ্রেফতারের পর বর্তমানে রিমান্ডে আছেন আলোচিত এই নেতা। আর রিমান্ডে থাকা অবস্থায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এছাড়া ভারতীয় দৈনিক ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের তাণ্ডবের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনা করকার উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল। আর হেফাজতের এই আন্দোলনের সহযোগিতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত এবং অর্থায়নে ছিলো পাকিস্তান।

দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর লেখা এ প্রতিবেদন শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দৈনিকটির অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ঢাকার সূত্রের বরাত দিয়ে এসকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে হেফাজত যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শের ভিত্তিতেই হয়েছে। আর তহবিল এসেছে পাকিস্তান থেকে।

এছাড়া, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে আফগানিস্তানে (তালেবানদের পক্ষ হয়ে) যুদ্ধ করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জিহাদিদের সঙ্গেও মামুনুলের যোগাযোগ রয়েছে। আর এসকল তথ্য মামুনুল নিজেই রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে দিয়েছেন।

ইকোনমিক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করে, হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী নিয়মিতই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে লন্ডনে থাকা খালেদা জিয়ার ছেলে (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) তারেক রহমানের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করেন বাবুনগরী ও মামুনুল। আর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা ছিল তারেকের।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ এপ্রিল তাকে একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।