সব
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে চলছে তৃতীয় মেয়াদের লকডাউন। লকডাউনের প্রভাবে কমবেশি সকলে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষদের ওপর। আর এমনই ক্ষতিগ্রস্ত এক নারী ২৭ বছর বয়স্ক শাবানা বেগম।
লকডাউনে নিজের পরিবারের দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে এই নারী বেছে নিয়েছেন রিকশাচালকের পেশা। শাবানা বলেন, দেড় বছর আগে সন্তানসহ তাকে ফেলে রেখে গেছেন তার স্বামী। অন্যদিকে তার মায়ের খোঁজ-খবর রাখেন না তার বড় ভাই। তাই মা ও সন্তানের খাবার যোগাতে রিকশাচালকের পেশা বেছে নিয়েছেন শাবানা।
শাবানা জানান, মিরপুর এলাকায় রিকশা চালান তিনি। কিন্তু লকডাউনের কারণে প্রথম দুই দিন রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেন নি। এই দুই দিন অভুক্ত থেকেই রোজা রেখেছেন। আক্ষেপ করে শাবানা বলেন, ‘পেট তো আর লকডাউন বোঝে না’ তাই ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে লকডাউনেই রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।
একজন নারী হিসেবে রিকশা চালাতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার শিকার হন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাড়াপ্রতিবেশীরা বিভিন ধরনের কথা শোনান। কিন্তু পেটের দায়ে সব কথা উপেক্ষা করেই রিকশা চালান তিনি। কারণ সকলে কথা বললেও বিপদে কেউ পাশে এসে দাঁড়ায় না। তবে এসময় শাবানা আরও জানান, প্রতিবেশীরা কথা শোনালেও রাস্তায় কখনও তাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না।
রিকশা চালিয়ে প্রয়োজনীয় আয় হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শাবানা জানান, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করেন। এই আয় থেকেই সপ্তাহে ৩ হাজার টাকার কিস্তি দিতে হয়। কিস্তির টাকা দেওয়ার পর চলতে খুব কষ্ট হয়।