আলেমদের মুক্তির দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করার আহবান জাফরুল্লাহ’র

| আপডেট :  ৩ জুলাই ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ জুলাই ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ

আলেম’দের মুক্তির দাবিতে দশ হাজার লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করতে চান গণস্বা’স্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আপনাদের ও’পর আমার রাগ আছে। আপনারা ঘরের মধ্যে বসে মিটিং করেন।

আমরা বেশ কয়েকবার বলেছি, হাজার দশেক লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করি। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, দুইদিনের মধ্যে তাদের সবার জা’মিন না হলে আমরা সবাই ঘেরাও করে থাকবো। ওদের মুক্তি না হলে হাইকোর্টে ঈদের জামাত হতে দেব না। আমরাই সেখানে মাঠ দ’খল করে বসে থাকবো।

রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত হ’য়রা’নিমূলক মা’মলায় রাজব’ন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস: নাগরিক সমাজের উ’দ্বেগ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণ মতামত কেন্দ্র এই সভার আয়োজন করে। তিনি বলেন, হাজী সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে দিতে পারেন না।

আসন্ন বাজেটে কৃষক শ্র’মিকদের কথা উল্লেখ নেই মন্তব্য করে গণস্বা’স্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বাজেট বুঝতে হলে আপনাকে ১৩শ পৃষ্টা পড়তে হবে। কয়জনে বই পড়ছে জানি না, এমপি সাহেবেরা কি করছে জানি না।

এটা চানক্যের চালাকি। আমাদের বাজেট হচ্ছে চানক্য পন্ডিতের চালাকি। খালি চারদিকে প্যাঁচ আর প্যাঁচ।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম বেড়েছে ১০ তারিখ কি আমরা ঈদ করতে পারবো? কিছুলোক করবে কিন্তু বেশিরভাগ লোকের মুখে হাসি আসবে না। আমার বাচ্চাটার জন্য কাপড় কিনতে পারবো না। সেমাই বানাতে পারবো না। মাংস পাবো না। এখন তো ভাগের মাংসও পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশ কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই বলে আমাদের এখানে ভারতের মত সা’ম্প্রদায়িক দা’ঙ্গা-হাঙ্গামা হয় না। এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের। আওয়ামী লীগের না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি তার বক্তব্যে আলেম’দের মুক্তির দাবির প্রতি পূর্ন সমর্থন জানান।আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য স’চিব নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সদস্য স’চিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।