সব
বাংলাদেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ব্রিটেনের ইউনিভাসিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় ৫ এপ্রিল থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করেছে যুক্তরাজ্যের এ বিশ্ববিদ্যালয়।
যুক্তরাজ্যের ১৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি ফর দ্যা ক্রিয়েটিভ আর্টস জানিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী গ্রহণ করবে না। দ্যা রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, দ্যা ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, অতিশ দিপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটি ও কুমিল্লা ইউনিভাসিটির কোন সনদ গ্রহণ করা হবে না বলে ইমেইল পেয়েছেন পূর্ব লন্ডনের স্টুডেন্ট কনসালটেন্টরা।
ব্রিটেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সহায়তা করেন এমন পরামর্শকরা বলছেন বাংলাদেশের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজীতে শিক্ষাদান করে এমন সনদ দিলেও সেই সনদ গ্রহণ করছে না ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইউনিভার্সিটি ফর দ্যা ক্রিয়েটিভ আর্টসের কালো তালিকাভূক্ত হবার বিষয়ে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ও চেয়ারম্যান কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মইন বলেছেন সনদ জালিয়াতির বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।ড. এএফএম আবদুল মঈন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কালো তালিকায় আসার প্রশ্নই আসে না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে ইউজিসির সাথে যোগাযোগ করেছে এবং ইউজিসি থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে।
কুবি উপাচার্য আরও জানান, যে প্রতিষ্ঠানটি থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভূক্তি করা হয়েছে, তাদের সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত কুমিল্লা নামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্টভাবে অবস্থান ও বিস্তারিত তথ্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ১৭ এপ্রিল এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দ্যা ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।